૨૭8 ভিষক-দৰ্পণ । [ জুলাই, డిసె eసి “টোটক৷” ঔষধ আছে। তাহদের সংক্ষিপ্ত , তালিকাও নিম্নে দেওয়া গেল — । ( ১ ) কাচ কণ্টিকারির শিকড়, 1০ মাত্রায় লইয়া একুশটি (মতান্তরে ২॥০ ) গোলমরিচ সহ তিনদিন সেবিত হইলে এক বৎসরের মধ্যে বসন্ত হয় না ; যে ব্যক্তির বসন্ত হইয়াছে, সে খাইলে, দুর্জয় বসন্তেরও হাত হইতে রক্ষা পাইবে । মূলের অভাবে, কাচা গাছের ছালও ব্যবহার্য্য ! গোবসস্তের প্রাদুর্ভাবের সময়ে গোগণকেও ইহা খাওয়ান যায় । (২) খালিপেটে অন্ততঃ পাচটা কঁrচ সোণামুগ খাইলে তাহার বসন্ত প্রতিষেধক গুণ • ৪ দিন পর্য্যস্ত থাকে। প্রত্যহ মুগের দাইলও খাওয়া উচিত । ( ৩ ) মকরধ্বজ সেবন । (অনুপান ?) ( ৪ ) ইক্ষু গুড়ের বা ঘুতের সহিত তিন দিবস নূতন শিমুলবীজ সেবন করিতে হুইবে । প্রথম দিবসে, ১২ট, ৭টা ও ৫টা করিয়া তিনবার। দ্বিতীয় দিবসে ৭টা ও ৫টা করিয়া দুইবার ও তৃতীয় দিবসে একবার ৬টা বীজ। গো মহিষকেও ইহা সেবন कब्रॉन झग्न । ( e ) গাধার দুগ্ধ সেৰনওঁ ৰসস্ত প্রতি ষেধক । (e) Fy ( Ahlotaxis Auriculata) s tę grįstą (Ocernum Bosilicum ) রস সেবনীয় 4 -- উপযুক্ত সকল গুলিই প্রতিষেধকরূপে ব্যবহৃত হয় ; তাহদের উক্ত ক্ষমতা কতদূর আছে, তাহ পাঠকমাত্রেই বিচার করিয়া লইৰেন। এতদ্ব্যতীত, রোগীকে যখন বসন্ত বাধি আক্রমণ করে, তখন স্থানিক প্রয়োগ রূপে ব্যবহৃত ছুই চারিটি টোটকা আছে ; তাহাদের তালিকা এই – ( ১ ) চক্ষুর পীড়া হইলে, প্রথম দিনে বিস্বপত্রের রস, দ্বিতীয় দিনে কাচা হরিদ্রার রস, তৃতীয় ও পরের পরে দিনে ৰেদানা কিম্বা পাক দাড়িমের রস ফোটা ফোট দিবে। ( ২ ) গাত্রে—অৰ্জ্জুনছালের রস বা তেলাকুচার পাতা, ঘৃত ও হরিদ্রার সহিত বাটিয়া প্রলেপ দিবে। এক্ষণে এলোপ্যাথিতে চিকিৎসা সম্বন্ধে যাহা যাহা সাধারণতঃ করা কর্তব্য তাহার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়া প্রবন্ধের উপসংহার করিব। এতৎসম্বন্ধে পূর্ব প্রবন্ধে দুই চারি কথা বলিয়াছি, তাহাদের কোনও কথার পুনরুল্লেখ করিব মাত্র । ( ১ ) বসন্তের প্রধান প্রতিষেধক বিধি গোৰীজের টীকা। পূৰ্ব্ব কালের “বাঙ্গাল টীকা’’ ( অর্থাৎ প্রকৃত বসস্তের বীজের টীকা বড়ই বিপদজনক ছিল। ( ২ ) উহার দ্বিতীয় প্রতিষেধকৰিধি – বসন্তরোগীর সংস্পর্শে না আসা । যে ব্যক্তির বসন্ত রোগ হইয়াছে, সেই ব্যক্তি ঐ ব্যাধির স্বত্রপাতের দিবস হইতে সম্পূর্ণ আরোগ্য হইবার পরেও ৩৪ সপ্তাহ বিষ বিস্তারিত করিতে সক্ষম। তন্মধ্যে গুটিকার পঙ্ক ও শুষ্কাবস্থাই সৰ্ব্বাপেক্ষ সাধারণের পক্ষে বিপজ্জনক সময় । বসন্ত রোগীর বমন, নিষ্ঠীবন পর্য্যস্ত ও সাবধানে পরিহার করা কৰ্ত্তব্য ; এবং তদ্ব্যবহৃত শয্যা-বস্ত্রাদিও পরিত্যজ্য । যদি কোনও স্থানে ( যেমন হাসপাতালে ) বহুসংখ্যক বসত্তরোগী থাকে
