পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগষ্ট, ১৯০৯ ] শিশুদের টিউবারকেল । রৰারের নল ব্যতীত আধুনিক কাচে নিৰ্ম্মিত শিশি অতি সযতনে পরিষ্কার করা দরকার । যক্ষ্মীক্রাস্ত রোগীকে শিশুর খাদ্য প্রস্তুত করিবার জন্ত হাত স্পর্শ করিতেও দেওয়া উচিত নয়। এই কারণেই যক্ষার রোগী হইতে শিশুকে দূরে রাখিতে হয় ও রাখা হয়। .৫ - শিশুকে গ্রামেই লালন পালন করা উচিত। গ্রাম্য স্থান নির্দিষ্ট করা অবস্থার উপর নির্ভৰ করে ; কিন্তু কোন জেলা নির্দিষ্ট করিতে হইলে নিম্নলিখিত বিষয় মনে রাখা দরকার ;–স্থান শুষ্ক হওয়া বিশেষ দরকার, স্থানে বৌদ্র প্রবেশ করা দরকার এবং সুখস্পর্শ বায়ু সঞ্চালিত হওয়া উচিত। বাড়ী ভাল স্থানে হওয়া দরকার, যে দিক হইতে ভাল বায়ু আইসে বাড়ীর সম্মুখ সেই দিকে হওয়াই দরকার, এবং বাড়ীর জল, নরদম এবং বায়ু চলাচলের অবস্থা অবশুই অতি সুন্দর স্বাস্থ্যকর হওয়া দরকার। যে কুঠরীতে বায়ু ভালরূপ সঞ্চালন করে ও যাহার সন্মুখ বায়ু আসিবার দিকে স্থিত, সেই প্রকার একটা বড় কুঠরীতে শিশুর শয়ন করা দরকার, এই কুঠরীর উপরের জানাল সমূহ বিশেষ খারাপ ঋতু ব্যতীত সকল সময়েই খোলা রাখা উচিত এবং রাত্রিতে ধাত্রীর পাশ্বের কুঠরীতে বাস করা উচিত। যক্ষ্মা নিবারণার্থে সমুদ্রতীরের হাওয়া হইতে পাৰ্ব্বতীয় জেলা অধিক উপকারী বলিয়া সাধারণের বিশ্বাস । ওয়েবার দেখাইয়াছেন যে, টিউবারকুলাউস্ পরিবার প্রস্বত ৪০ জন শিশুর, যাহারা সমস্তেই পাৰ্ব্বতীয় জেলায় প্রতিপালিত হইয়া জীবনের পরের অংশ অত্যন্ত প্রতিকুল অবস্থায় কাটাইয়াছিল SDe তাহাদের মধ্যে ৪ জনের টিউবারকেল ব্যারাম উৎপন্ন হইয়াছিল । মারসিয়ার দেখাইয়াছেন যে, টিউবারকুলাউস পিতামাতা প্রস্বত সস্তানদের মধ্যে যাহারা গ্রামে বাস করে, তাহার শতকরা তিনট ও যাহারা নগরে বাস করে তাহদের শতকরা ৫০টী মৃত্যুমুখে পতিত হয়। কোমরবন্ধ, বন্দনী ব্যতীত পরিচ্ছদ গরম ও ঢিলা হওয়া উচিত । সমস্ত ঋতুতেই মধ্যের জামা খাট পশমের ও রাত্রের পা জামা ফ্লানেলের হওয়া দরকার। খাদ্য নিম্নলিখিত দ্রব্য সংক্রান্ত সাধারণ মুস্থকর হওয়া দরকার। যথা :—দুগ্ধ সংক্রান্ত পিষ্টক, নুতন ডিম ও মাখন, ঘরের তৈয়ারী আচার, পঙ্ক ফল, অল্প পরিমাণে টুকরো টুকরো সদ্যঃ মৎস্য ও মাংস, গোল আৰু চাউল ও দুগ্ধ সংযুক্ত পিষ্টক, মুজি, পালে, ব্রাণের রুট, গুড়, এবং কটলেট, দুগ্ধ ইত্যাদি । তরল পদার্থের মধ্যে সদা; দুগ্ধ, ঘোল, চার জল, দুগ্ধ সংক্রান্ত চা, ককেয়া এবং নুতন প্রস্তুত লিমনেড ব্যবহার করা উচিত । আহার নিয়মিতরূপে হওয়া দরকার। সাহেবদের প্রাতে ৮৩০ মিনিট সময়ে ব্রেকফাষ্ট, ১১টার সময় লাঞ্চ, ২টার সময় ডিনার এবং ৬টার সময় চা ৷ আমাদের দেশী রোগীকে ৮-৩০ মিনিট সময়ে মোহনভোগ ইত্যাদি সহজ পরিপাকোপযোগী খাদ্য, ১১টার সময় ভাত মৎস্ত ইত্যাদি, ৫-৬টার সময় রুট দুগ্ধ ইত্যাদি দেওয়া যাইতে পারে। ইহা ব্যতীত উক্ত আহারের সময়ের ভিতর অন্য কোন প্রকার অtহার দেওয়া অকৰ্ত্তব্য । নিদ্র পরিমাণমত হওয়া দরকার, শিশুর খোলা বাতাসে দিন কাটাইলেই বেশ নিদ্রা আইসে । আগস্তকের চুম্বন শিশুর