পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেপ্টেম্বর, సిసి ] চিকিৎসায় ব্যায়াম ও বিশ্রাম । రి:t আমাদের সুস্থ ও অসুস্থ শরীরে কতছুর কখন দরকার, তাঁহাই এখন আলোচ্য । ব্যারাম কি ? কোষের ন্যায়, শরীরের বা তাহার কোন অংশের অস্বাভাবিক অবস্থাকেই ব্যারাম বলা যায়। ব্যারাম সমস্ত শরীরে বা তাহার কোন অংশে হইতে পারে । যথা ;–জর সমস্ত শরীরেই অনুভূত হয়। কিন্তু একটা অঙ্গুল পুড়িয়া গেলে শরীরের একটী অংশের वjब्रांभ झग्न भण्ड ! সুস্থ শরীর পোষণ করিতে কি কি দরকার ? ১ । খাদ্য, (ক) খাদ্যের পরিপাক, (খ) খাদ্য শরীরে মজ্জাগত হওয়া,(গ)খাদ্যাবশিষ্টের নিঃসরণ, (ঘ) শরীরের অন্তান্ত লিবিধ পদার্থের নিঃসরণ ৷ ২ ৷ ব্যায়াম ৷ ৩ ৷ বিশ্রাম । ৪ । সুস্থকর জল, বায়ু ও স্থান । এ প্রবন্ধে যদিও ব্যায়াম ও বিশ্রামের বিষয়ই মুধু লিখা উচিত, তথাপি খাদ্যের পরিপাক, খাদ্য মজ্জাগত হওয়া ইত্যাদির সহিত ব্যায়াম ও বিশ্রামের এরূপ ঘনিষ্ট সম্বন্ধ যে, খাদ্যের বিষয় মোটা মোট জানা না থাকিলে বিশ্রাম ও ব্যায়ামের কার্য্যের বিষয় কিছুষ্ট বুঝা যায় না । সুতরাং খাদ্যের বিষয় অতি সংক্ষেপে বলা দরকার বোধে এই স্থানে তাহ লিপিবদ্ধ করিলাম । খাদ্য সহজ পরিপাকোপযোগী, শরীরপোষণক্ষম, নিয়মিত, পরিমিত হওয়া দরকার । ইহা না হইলেই ব্যারাম উৎপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । এই খাদ্য আহারাস্তে পাকস্থলীতে প্রবেশ করে ও তথায় এরূপ অবস্থায় शङ्क्षि१छ् श्न cश्य, एवं च eथं८र्राभ्ji८ख एषिक्छांश्छ যন্ত্রের নিঃসরিক পদার্থ তাহার উপর সহজে উত্তমরূপে কাৰ্য্য করিতে পারে । পাকস্থলী ও অস্ত্র হইতে পরে শরীর পোষণোপযোগী পদার্থ লিস্ফ্যাটিক নাড়ী দ্বারা বাহিত হয় ও পরে থোরেসিক্ ডাক্ট যে স্থলে ভেইনে প্রবেশ করে তথায় উক্ত পদার্থ উৎগারণ করে । এই পোষণোপযোগী পদার্থ এখন শোণিতের সহিত মিশ্রিত হইয়া সমস্ত শরীরে অনিত হয় । শরীরের যন্ত্র বিধানতন্ত্র ও কোষ যাহাদের স্ব স্ব শরীরের পোষণার্থে যে যে পদার্থের দরকার তাহারা সেই সেই পদার্থ শোণিত হইতে গ্রহণ করে, পরে তাঙ্কাদের পোষণান্তে যে যে পদার্থ তাহীদের শরীরের অনুপযোগী বা বিষাক্ত তাহা পুনঃ শোণিতে নিষ্ক্রাস্ত করিয়া দেয় । এই সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ নিঃসারক যন্ত্র দ্বারা বাহির হইয়া যায় । যদি কোন কারণে এই পোষণের অভাব হয় বা নিঃসরিক যন্ত্র দ্বারা এই সব বিষাক্ত পদার্থ নিঃসারিত না হয়, তবেই ব্যারাম উৎপন্ন হয়। পূৰ্ব্বেই দেখাইয়াছি ব্যায়াম ও বিশ্রাম এই পোষণের জন্ত অত্যাবশুকীয়। শরীরের ব্যায়াম আমরা দুই ভাগে বিভক্ত করিতে পারি। প্রথমত: মনুষ্যের ইচ্ছার বা কার্য্যের অধীনে না থাকিয়া স্নায়বিক যন্ত্রের অধীনে থাকিয়া স্বাধীন ভাবে কার্ষ্য করে। দ্বিতীয়তঃ মানব ইচ্ছা ও বাহিরের উত্তেজনার উপর নির্ভর করে । প্রথম বিভাগে হৃৎপিণ্ডের কার্য্য ও দ্বিতীয় বিভাগে মাংসপেশীর কার্য্য উল্লেখযোগ্য। যদিও হৃৎপিণ্ডের কার্য্য আমাদের ইচ্ছা অনুসারে বন্ধ করিতে পারি না তথাপি আমাদের ইচ্ছানুসারে মনের উত্তেজনায়