পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবেম্বর, ১৯০৯ ] এই চৰ্ম্ম বিভাগের মেলেরিয়া ব্যারামে প্রথম চিকিৎসা আরম্ভ করিবার সময় রোগীর কোষ্ঠ পরিষ্কার আছে কিনা তাহা দেখা একান্ত দরকার। যদি কোষ্ঠ পরিস্কার না থাকে তবে কোন বিরেচক পদার্থ দ্বারা কোষ্ঠ পরিষ্কার করিয়া পরে কুইনাইন ব্যবহার করা উচিত । এই কোষ্ঠ পরিষ্কার করিবার জন্য আমার মতে মেগনেসিয়া সালফেষ্টট সৰ্ব্বাপেক্ষ উৎকৃষ্ট । ইহাতে স্বধু যে বাহ হয় এমত নহে ; ইহাতে শরীরের অনেক জলীয় পদার্থের নির্গমনের সাহায্য করে ও আমার বিশ্বাস তাহার সহিত অল্প পরিমাণ টক্সিনও নাসা । 8›ማ নির্গত হষ্টয়া যায় এবং এতৎ-প্রকারে শোণিতের জলীয় পদার্থের হ্রাস হওয়ায় অল্পপরিমাণ কুইনাইনে কাৰ্য্য করিতে পারে ও কুইনাইন ইত্যাদি ঔষধ ও অন্ত্র হষ্টতে শরীরে প্রবেশ । করিতে সুবিধা পায় । কুইনাইন ব্যবহারের পূৰ্ব্বে রোগীর জিহবা পরীক্ষা করা দরকার । রোগীর জিহবা যখন শুষ্ক থাকে তখন অনেক সময় দেখা যায় যে, কুইনাইন প্রয়োগে কোনই ফল হয় না । এই বিভাগের চিকিৎসা সম্বন্ধে আর বিশেষ কোন লিখিবার নাই । নাসা । Epistaxis (Bleeding from the nose.) লেখক ত্রযুক্ত ডাক্তার কুঞ্জবিহারী জ্যোতিভূষণ । নাসিকা হইতে শোণিতস্রাব হওয়ার সাধারণ নাম নাসা । ইহা দ্বিবিধ ; এক প্রকারের ব্যাধিতে নাসারদ্ধের অভ্যন্তর হইতে বিদুশ: শোণিতপাত হইতে থাকে, অপর প্রকারের ব্যাধিতে শোণিত স্রাব হয় না, উহার শৈমিক ঝিল্লির প্রদাহ জন্মাষ্টয়া থাকে মাত্র । এই প্রকার প্রদাহ বশতঃ রোগীর জর হইতে দেখা যায়। এবং দুই হইতে পাচ দিবসের মধ্যেই আরোগ্য হইয়া থাকে । প্রথম প্রকারের ব্যাধিতে কোন জালা, যন্ত্রণ বা ৰিশেষ কোন কষ্টকর অবস্থা উপস্থিত হয় না, তথাপি অতিরিক্ত শোণিত লাৰ হেতু দৌৰ্ব্বল্য সমুপস্থিত হইয়া মৃত্যু ৷ ঘটিলেও ঘটতে পারে, ইহাই এক বিশেষ আশঙ্কা ; অথবা শোণিত স্রাব অভ্যস্তর দিকে সংঘটিত হইয়া ফুসফুস মধ্যে গমন করিতে পারে, বা শ্বাস-নালীতে গমন করিয়া শ্বাসাবরোপ জন্মাইতে পারে । দ্বিতীয় প্রকারের ব্যাধিতে নাসারন্ধের মধ্যে অতিশয় প্রদাহ জন্মে ও প্রদাহ জনিত যাবতীয় অসুস্থত উপস্থিত হয় । জর, শিরঃপীড়া, সৰ্ব্বশরীরে বেদন ও হস্ত পদের কামড়ানি, পিপাসা প্রভৃতি লক্ষণ উপস্থিত হইয়া রোগীকে বিশেষ,কষ্ট দিতে থাকে। নাসা রোগ বলিলে, নাসারন্ধের যাবতীয় ব্যাধিকে বুঝাইয়া থাকে ; কিন্তু নাসা এই অভিধান কেবলমাত্র নাসিক হইতে রক্ত Q)