পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৪৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবেম্বর, ১৯০৯ ] இ) পচননিবারক ঔষধ । 8මාව eqqs Sulphoricinoleic acid zēt 5 উৎপন্ন সাবান সকল ফেনল জাতীয় ঔষধের সহিত মিশ্রিত হইলেও বেশ ভাল কাজ করে। অনেক স্থলে দেখা য{য় যে, যে পরিমাণে সাবান ব্যবহৃত হয়, পচননিবারক ঔষধগুলির কার্য্যের ও সেই পরিমাণে তারতম্য হয় । ডাক্তার লুউবান হিমার নিজের পারদর্শী তার ফলে দেখাইয়াছেন যে, সচরাচর যে সকল পচননিবারক ঔষধ ব্যবহৃত হয়, ফেনলজাতীয় ঔষধগুলি তদপেক্ষা অনেক গুণে ভাল । পূৰ্ব্বে লিখিত হইয়াছে যে জৈবিক অনেক পদার্থের সহিত একত্রিত হইলে অক্সিজেন দাহক ঔষধগুলির ক্রিয়ার হ্রাস হয় । প্রমাণিত হয়—পারম্যাঙ্গ্যানেটের ন্যায় অক্সিজেন দাহক দ্রব্যগুলি অন্যান্য পচননিবারক স্থিরপ্রকৃতির লবণ গুলি অপেক্ষ নেক দুৰ্দ্দমনীয় জীবাণুদিগকেও শীঘ্র শীঘ্র নষ্ট করে । আর এই প্রমাণ বাস্তবিকই সত্য । কিন্তু দেখা যায় যে, মল প্রভৃতি জৈবিক পদার্থের সহিত সংসর্গে আসাতে পারম্যাঙ্গ্যানেটের ক্রিয়ার অনেক ব্যাঘাত হয় । এই প্রকার পারক্লোরাইড অব মার্কারির দ্রব ব্যবহার কালে অণ্ডলাল প্রকৃতিবিশিষ্ট পদার্থের সহিত একত্রিত হওয়াতে দ্রব্যটার পচননিবারক শক্তি অত্যন্ত কমিয়া যায় । ফেনল জাতীয় পচননিবারক ঔষধ গুলি ব্যবহার কালে এই প্রকার ক্রিয়ার ব্যাঘাত হয় না । m-xylenol এর শতকরা ১ভাগ মাত্রার জলীয় দ্রব্য ৩০ সেকেণ্ডে ষ্টেফিলোককাসূ জীবাণুকে ংস করে ; কিন্তু জীবাণুদিগের সহিত শতকরা ৫০ ভাগ মাত্রায় রক্তসিরাম মিশ্রিত থাকিলে জীবাণুদিগকে মারিতে ঐ শক্তির দ্রবের ১ মিনিট লাগে। Lysol এর শতকরা ২ ভাগ মাত্রার দ্রব ঐ জীবাণুদিগকে ৫ মিনিটে নষ্ট করে ; কিন্তু জীবাণুর সহিত শতকরা ৫০ ভাগ মাত্রায় রক্ত সিরাম মিশ্রিত থাকিলে জীবাণুদিগকে মারিতে ৭ মিনিট সময় লাগে । অনেকদিন ধরিয়া নানাপ্রকৃতির উপায়ে পরীক্ষা করিলে তবে বলা যায় যে, কি উপায়ে ঔষধের পচননিবারক শক্তি ঠিক বাহির করিতে হয় । আজ কাল রোগোৎপাদক জীবাণুদিগের উপর ঔষধের ক্রিয় দেখিয় উহার পচননিবারক শক্তি নির্ণয় করা হয় ও সেই অনুসারে উহার কার্বলিক্‌ এসিড, coefficient বাহির করিয়া পচননিবারক শক্তির পরিমাণ বলা হয় । কিন্তু সেটা ভুল । কোন ঔষধ মনোনীত করিবার পূৰ্ব্বে ইহা বিবেচনা করা উচিত যে, কি অভিপ্রায়ে বা কি প্রণালীতে আমরা উহ! প্রয়োগ করি । আরও দেখা উচিত যে, প্রয়োগ কালে ঔষধ কোন জৈবিক প্রকার পদার্থের সহিত সংসগে অাসে কি না । আর যদি তাঁহাই হয়, তবে জৈবিক পদার্থের পরিমাণ ঠিক করা উচিত। এতদ্ব্যতীত অন্তস্ত্যৈদিকেও লক্ষ্য থাকা উচিত। ঔষধের কাৰ্ব্বলিক এসিড, coefficient জানিয়া উহার ফলাফলের বিষয় ভুল ধারণ করা উচিত নয়। সকল স্থানে প্রথমত: পচননিবারক ঔষধগুলির Rideal- , walkerএর প্রণালী অনুযায়ী কাৰ্ব্বলিক এসিড । cocficient বাহির করা উচিত ; মল, রক্ত প্রভৃতি জৈবিক পদার্থের বর্তমান ও উহার কাৰ্ব্বলিক্‌ এসিড, coefficient দেখা উচিত এবং সৰ্ব্বশেষে পচননিবারক ঔষধটার রাসায়নিক উপাদান দেখা উচিত ।