ডিসেম্বর, ১৯০৯ ] হওয়া বন্ধ হয় ; তাহার কোনও সন্দেহ নাই । এডরিনানিল যখন প্রথম প্রচারিত হয় তখন কথিত হইয়াছিল যে, সকল প্রকার শোণিত স্রালেই এডরিনানিল বিশেষ উপকারী মহৌষধ। তাহার পরেই শোণিতস্রাব রোধার্থ যথা তথা প্রয়োজিত হওয়ার পর প্রচারিত হইল ধে, এডরিণানিল কর্তৃক শোণিত সঞ্চাপ বুদ্ধি হওয়ার ফলে তদ্রুপ প্রয়োগে উপকার না হইয়া বরং বিশেষ অপকার হয় । এক্ষণে আবার কথিত হইতেছে যে, সকল প্রকার শোণিতস্রাবে উপকারী নহে । তবে যে স্থলে শোণিত শ্রাব জন্ত শোণিত সঞ্চাপের হ্রাস হওয়ায় মেডুলার আধশুকীয় উপযুক্ত পরিমাণ শোণিত উপস্থিত হইতে পারে না, সেই স্থলে এডরিন' নিল প্রয়োগ করিলে শোণিত সঞ্চাপের সমতা সাধন করিয়া—মেডুলায় উপযুক্তিশোণিত সঞ্চালিত করিয়া উপকার করে । বিদীর্ণ শোণিতবহ বিশেষ ভাবে সঙ্কুচিত করে না । তবে সাধারণ ভাবে শোণিতবহ সঙ্কুচিত করে । পরে এতৎসম্বন্ধে আরো সিদ্ধাস্ত প্রচারিত হুইবে, আমরা ইহা অনুমান করিতে পারি। صممت مصصصحق 5 জরায়ুর কর্কট রোগ । জরায়ুর ক্যানসার পীড়া এদেশে অতি বিরল, পীড়া মধ্যে পরিগণিত নষ্ঠে । এতৎপীড়াগ্রস্তা গোগিণী সকল চিকিৎসকেই পাইয়া থাকেন । বিশেষতঃ র্যাহার কলিকাতায় চিকিৎসা ব্যবসা করেন এবং স্ত্রীগে চিকিৎসায় খাত লাভে সমর্থ হইয়াছেন। তাহারা এই বিবিধ তত্ত্ব । 8ማ > শ্রেণীর রোগিণী বিস্তর প্রাপ্ত হন । কিন্তু এমন অবস্থায় প্রাপ্ত হন যে, তখন আর চিকিৎসা করিয়া নিজে অর্থ লাভ করা ব্যতীত রোগিণীর কোন উপকার করিতে পারেন না । কেবল স্তোক বাক্য দ্বারা বা অস্ত্রোপচার করিয়া (রাগিণীর সন্তোষ বিধান করেন মাত্র । কিন্তু তাহাতে জীবন রক্ষার কোন উপায় হয় না । ইহার কারণ এই যে, যে সময়ে চিকিৎসা করিলে উপকার হওয়ার সম্ভাবনা, তাহার বহু পরে অর্থাৎ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি হইয়া স্থানিক পীড়া সাৰ্ব্বাঙ্গিক পীড়া রূপে ব্যাপ্ত হওয়ার পর ঐ সমস্ত রোগিণী কলিকাতায় আইসে । সুতরাং কলিকাতায় সুচিকিৎসার জষ্ঠ আইসায় আর কোন সুফল হয় না । কারণ, ক্যানসার পীড়া যতক্ষণ স্থামিক পীড়া রূপে অবস্থান করে, ততক্ষণ তাহার আরোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । ক্যানসার পীড়া ব্যাপক পীড়া রূপে পরিণত হইলে তাহ অসাধ্য। এই জন্য ক্যানসার পীড়ার প্রথম অবস্থায় তাহা নির্ণয় করার জন্ত চিকিৎসক মাত্রের তৎপরতা প্রকাশ করা কৰ্ত্তৰ । উল্লিখিত কারণ জন্য আমরা ব্রিটিশ মেডিকেল এসোসিয়েসনে আলোচিত—জরাযুর কর্কট রোগ নামক প্রবন্ধের স্কুল মৰ্ম্ম এ স্থলে সঙ্কলিত করিলাম । জরায়ুর কর্কট রোগ আরম্ভ মাত্র তাহার অস্ত্রোপচার দ্বারা দূরীভূত করিলে পীড়া আরোগ্য হইতে পারে। এই বিষয়ে সকল চিকিৎসকেরই' মনোযোগ আকর্ষণ করা কৰ্ত্তব্য । পীড়া যদি অধিক বিস্তৃত হইয়া পড়ে, তাহা হইলে উদরগহবর উন্মুক্ত করতঃ বস্তি
