পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৫২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডিসেম্বর, ১৯০৯ ] বিবিধ তত্ত্ব । ৪৭৩ দাগও কাপড়ে লাগে । এই সময়ে শক্তি হ্রাস বা শরীর ক্ষীণ না হঠতে পারে । এবং তজ্জন্ত কোন আশঙ্কাও উপস্থিত না হইতে পারে । যখন বেদনা, শরীর ক্ষয়, যথেষ্ট শোণিত স্রাব, এবং দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব হইতে থাকে। তখন বুৰিতে হইবে যে, পীড়া অপেক্ষাকৃত প্রবল ভাব ধারণ করিয়াছে । চল্লিশ হইতে পঞ্চাশ বৎসর বয়সের মধ্যে সাধারণতঃ পীড়া আরম্ভ হয় । তজ্জন্ত অনেকেই মনে করে যে, স্বাভাবিক নিয়মে ঋতু বন্ধ হওয়ার সময় সন্নিকটবর্তী হইয়া আসিতেছে, তজ্জন্ত ঋতু সম্বন্ধীয় এই সমস্ত গোলযোগ আরম্ভ হইয়াছে । কিন্তু চিকিংসকের কৰ্ত্তব্য যে, তিনি উক্ত কল্পনা সিদ্ধান্তে বিশ্বাস স্থাপন না করিয়া উক্ত লক্ষণ সমূহ क7ांननांल्ल श्रीफ़ नडूङ नग्न ८कन, डांशझे নির্ণয় করিতে চেষ্টা করিবেন। স্বাভাবিক নিয়মে ঋতু বন্ধ হওয়ার পর সামান্ত একটু শোণিত স্রাব হইলেও তাহ প্রথমে ক্যানসার বলিয়া সন্দেহ হইতে পারে । উল্লিখিত লক্ষণযুক্ত কোন রোগিণী চিকিৎসাধীনে আসিলে প্রথমে উভয় হস্ত দ্বার পরীক্ষা করিতে হইবে, চক্ষু দ্বারা দেখিয়া পরীক্ষা করিতে হইবে । তৎপর চিকিৎসা করিতে হইবে । r রোগিণী উল্লিখিত পরীক্ষায় অসন্মতা হইলে এই রোগের পরিণাম ফল কি হওয়া সম্ভব, তাহা পরিষ্কার রূপে বুঝাইয়া দিতে হইৰে তাহাতেও যদি পরীক্ষা করিতে না দেয়, তাহা হইলে ঐক্কপ রোগিণীর চিকিৎসা কার্য্যে ব্ৰতী হইতে অসন্মত হওয়াই চিকিৎ সকের পক্ষে সৎ পরামর্শ সিদ্ধ । শোণিতপ্ৰাৰ সময়ে অনেকে পরীক্ষা করিতে সন্মত হন না । কিন্তু তাহ করা কর্তব্য । কারণ রক্তস্রাব বন্ধ হওয়ার আশীয় বসিয়া থাকিয় মূল্যবান সময় অপব্যয় করা কখনই বিধেয় নহে । হাত ও যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষার সময়ে পচন নিবারক প্রণালী বিশেষ রূপে অবলম্বন করা কৰ্ত্তব্য । পরীক্ষার সময়ে যোনি মধ্যস্থিত জরায়ু গ্রীব এবং গ্রীবার মধ্যস্থিত রন্ধের সমস্ত বিবরণ বিশেষ রূপে অনুসন্ধান করিয়া তৎসমস্ত বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়া রাখা কৰ্ত্তব্য । রোগাক্রমণের প্রথমাবস্থায় সাধারণতঃ যোনিস্থিত জরায়ুগ্ৰীবার গাত্রে নুতন বৰ্দ্ধন লক্ষ্য করা যাইতে পারে । গ্রীবার গঠনের অভ্যস্তরে, বা তাহার আবরক ঝিল্লিতে পীড়া আরম্ভ হয়। যেস্থানে এই পীড়া আরম্ভ হয়, সেই স্থানে হয় তো প্রথমে ক্ষত হয়, নতুৰ সেই স্থান অপেক্ষাকৃত একটু উচ্চবোধ হয় । ক্ষতের মধ্যে ক্ষয়িত বোধ হইলে তৎক্ষণাৎ ক্যানসার বলিয়া সন্দেহ উপস্থিত হয় । ষোনি স্থিত জারায়ুর গ্রীবার গঠন মধ্যে গুটী বা দান, কঠিন বিষম সীমা বিশিষ্ট, স্থিতিস্থাপকতা বিহীন কোন নুতন গঠন অনুভব করিতে পারিলে তাহা ক্যানসার বলিয়। সন্দেহ করিতে হইবে । সমস্ত গ্রীবার গঠন যদি আক্রান্ত বোধ হয়, তাহা হইলে উক্ত কাঠিন্তের সহিত সাভাবিক কোমল গঠনের পরস্পর তুলনা করিয়া মন্তব্য স্থির করিবে । জরায়ুর গ্রীবার উদ্ধাংশে বা জরায়ুর দেহের কোনস্থানে ক্যানসার জাত পদার্থ সঞ্চিত হইলে তাহ অঙ্গুলি দ্বারা পরীক্ষা এবং উক্ত