পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/৫২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডিসেম্বর, ১৯০৯ ] छब्रांबूयौवांद्र श्रउाख्द्र श्रश्नं ७द९ जभख জরায়ু গহবর বিশেষতঃ যে স্থানে নল সম্মিলিত হইয়াছে সেই সকল স্থান উত্তম রূপে কিউরেট করিয়া অবিশুকীয় বিধান বহির্গত করিয়া আনিবে । যে সমস্ত পদার্থ বহির্গত হইয়া আসিবে তাহ এবং যাহা বেীত জলের সহিত বহির্গত হইয়া আসিবে তৎসমস্ত সংগ্ৰহ করিয়া পূৰ্ব্বোক্ত প্রণালীতে পরীক্ষার্থ প্রেরণ করিতে হইবে । এই সময়ে ডুসের জন্ত যে ঔষধ মিশ্রত জল ব্যবহার করা হয়,তাহা কেবল স্ফটিত জল হইলেই ভাল হয় । মৃদু প্রকৃতির সবলাইমেট দ্রব (১:১o০০০) ব্যবহার করা যাইতে পারে। কিন্তু কাৰ্ব্বলিক এসিড বা লাইজল দ্রব ব্যবহার করা বিধেয় নহে। কারণ, এই শ্রেণীর ঔষধ ব্যবহার করিলে কর্কট রোগের বিধান সমূহ সহজে রঞ্জিত হয় না । পরীক্ষকের—বিধান তত্ত্বজ্ঞের সিদ্ধান্তের উপর অস্ত্রোপচার নির্ভর করে । তিনি ক্যানসার পীড়া বলিয়৷ মত প্রকাশ করিলে অনতিবিলম্বে অন্ত্রোপচার কৰ্ত্তব্য । অবশ্য ইহা উল্লেখ করা ৰাহুল্য যে, অস্ত্রোপচারক পুনৰ্ব্বার বিবিধ তত্ত্ব । 8ፃፃ ংজ্ঞা হরণ করিয়া পরীক্ষা করার পর অন্ত্রোপচার করিবেন। সাহেবদিগের সামাজিক প্রথানুসারে স্ত্রীলোকদিগের পক্ষে পুরুষ ডাক্তার দ্বারা পরীক্ষা করা যত সহজ সাধ্য হয়, আমাদের দেশে কিন্তু তত সহজ সাধ্য নয় । ইহার অনেক কারণ। তন্মধ্যে সামাজিক প্রথা,লোকগঞ্জন ভয় এবং লজ্জাশীলতার আধিক্যই প্রধান । পুরুষ ডাক্তার পরীক্ষ করিলে অন্ত স্ত্রীলোক লজ্জা দিবে—এই আশঙ্কায় অনেক স্ত্রীলোক প্রকাগুভাবে পরীক্ষা করিতে আপত্তি উপস্থিত করে, কিন্তু অজ্ঞান করিয়া পরীক্ষা করিতে আপত্তি করে না । এই সমস্ত কারণ জন্ত এদেশীয় স্ত্রীলোকদিগকে পরীক্ষা করিতে হইলে অজ্ঞান করিয়া পরীক্ষা করাই সৎ পরামর্শ সিদ্ধ । ক্যানসার বলিয়া অনতিবিলম্বে যথোপযুক্ত ভাবে পরীক্ষা করা এবং ক্যানসার স্থির হইলে অনতিবিলম্বে অস্ত্রোপচার করাই এই রোগ হইতে নীরোগ হওয়ার এক মাত্র আশা । কিন্তু রোগ নির্ণয়ে এবং অস্ত্রোপচারে বিলম্ব হইলে সে আশায় নীরাশ হওয়া নিশ্চিত ।