পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫৬ ভিষক-দৰ্পণ । { মার্চ, ১৮৯২ হইতে কতকট। চাপ প্রদান করে । এই সকল বহির্দেশস্থ চাপ কম পড়িলে ধমনীর সংঙ্কোচন অভাব এৰং প্রসারণের বৃদ্ধি হইয়া রক্তের চাপ কম পড়ে। ধমনী হইতে বাহ্যিক চাপ অপসারিত হইলে কিরূপ আশ্চৰ্য্য ব্যাপার সংঘটিত হয় দেখুন। জলোদী ট্যাপ করিয়৷ তৎক্ষণাৎ সমস্ত জল বাহির করিয়া ফেলিলে রোগীর ফেণ্টিং বা মুচ্ছৰ্ণ হয়। কিন্তু ট্যাপ করিবার পর পেটে একটা ব্যানডেজ বাধিয়া দিলে আর রোগী মুচ্ছ যায় না। এই ৰ্যাপারের কারণ কি ? যিনি রক্তের চাপনের ব্যাপারটা ভাল করিয়া বুঝিতে পারিয়াছেন তিনি ইহার তাৎপৰ্য্য অনায়াসে হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিবেন । যখন ক্রমে ক্রমে জল জমিয়া জলোদরী হইয়াছিল তখন ঐ উদরস্থ জল ক্রমে ক্রমে বৃদ্ধি হইয়৷ উদরস্থ যন্ত্রাদির উপর বিষম চাপ প্রদান করিতে ছিল, ঐ যন্ত্রাদির চাপে ধমনীর উপর বিষম চাপ পড়িয়াছিল সুতরাং আটলিয়াল টেনসন বা ধামনিক চাপ বৃদ্ধি হইয়াছিল। ট্যাপ করিলে হঠাৎ সমস্ত জল বাহির হইয়া যাওয়াতে ঐ সকল উদরস্থ যন্ত্র হইতে চাপ অপসারিত হওয়াতে ধমনীগুলি প্রস)রিত ও কতক পরিমাণে রক্তশূন্য হইয়া পড়ে এবং রক্তের চীপের অভাব হওয়াতে মস্তিষ্ক’ রক্ত শূন্য ইয়া রোগী মূচ্ছ। প্রাপ্ত হয় । কিন্তু শূন্যোদরে ব্যানডেজ বাধিয়া চাপ প্রদান করিলে ধমনী অযথা প্রসারিত হইতে পায় ন। সুতরাং ধমনী রক্ত শূন্য হইতে পায় না এবং রোগীও মুছ। ষায় না । অত্যন্ত ক্ষুধা লাগিয়া পাকস্থলী একবারে শূন্য হইলে ধামনিক চাপ কম পড়ে এবং ক্ষুধিত ব্যক্তি মুচ্ছ। প্রাপ্ত হয়। দুৰ্ব্বল ব্যক্তি সমস্ত রাত্রি প্রস্রাব ত্যাগ না করিয়া প্রাতঃকালে হঠাৎ শয্যাত্যাগ করিয়া দাড়াইয়। উঠিয়া প্রস্রাব ত্যাগ করিলে মুচ্ছ প্রাপ্ত হয়। পরিপূর্ণ মূত্রাধার (ব্র্যাডার) হঠাৎ থালি করাতে উদর হইতে চাপ অপসারিত হয় তাহাতে এবডোমিনাল এয়োট ধমনী প্রসারিত হয়, এবং তদুপরি ক্যারটিড ধমনী রক্ত শূন্য হইয়া মস্তিষ্কে রক্তের অভাব হওয়াতে রোগী মুচ্ছৰ্ণ প্রাপ্ত হয় । ক্রমশঃ– পথ্য-বিধান । লেখক—শ্ৰীযুক্ত ডাক্তাব কুঞ্জবিহারী দাস (পূৰ্ব্ব প্রকাশিতের পর ) { আমরা পূৰ্ব্বেই উল্লেখ করিয়াছি যে, জলের সহিত বিবিধ পদার্থ মিশ্রিত থাকিতে পারে। কিন্তু যে সকল জলে লোহ, গন্ধক প্রভৃতি পদার্থ মিশ্রিত থাকে ঐ জল ব্যাধি বিশেষে আক্রান্ত ব্যক্তিদিগের পক্ষে বিস্তর হিতফল দশাইয়া থাকে। জুর্বল অঙ্গল