o \ともや ভিষকৃ-দৰ্পণ । [আগষ্ট, ১৮৯১ প্লীহার অবস্থা ঐরূপ হয় নাই, সামান্য । বিবৃদ্ধি বশতঃই এই প্রকার ঘটিমাছে । এই কারণে তিনি এক মাস কাল চিকিৎসা করিয়া রোগীকে বলিষ্ঠ ও তাহার শরীরের রক্তের অবস্থা সংশোধিত করেন । , তাহার পর ৩রা এপ্রেল তারিখে অস্ত্রোপচার দ্বারা তাঙ্গার বৰ্দ্ধিত প্লীহা দূরীভূত করিতে প্রবৃত্ত হন। অস্ত্রকরণোপযোগী যাবতীয় দ্রব্য এসিষ্ট্যান্ট সার্জন আনন্দ লাল বসু এম, বি, মহাশয়ের দ্বারা প্রস্তুত করাইয়াছিলেন । পচন নিবারক অর্থাৎ এণ্টিসেপটিক প্রণালী অনুসারে এই অস্ত্রচিকিৎসা যে সম্পাদিত হই যাছিল, তাহা এ স্থলে বলা বাহুল্য মাত্র । লিগে চার বন্ধনার্থে যে রেশম ব্যবহৃত হইয়াছিল, তাহ। কাবলিক লোশনে সিদ্ধ করিয়া লওয়া হয়। নূতন স্পঞ্জ প্রথমে কাবলিক এসিডে ভিজাইয়া, পরে ক্রমান্বয়ে ১২ ঘণ্টা পৰ্য্যস্ত বারম্বার শীতল জলে ধৌত করা হইলে, উহাকে এণ্টিসেপটিক লোশনে ভিজাইয়া রাখা হয়। নূতন ড়ে সিং প্রস্তুত ও যন্ত্রাদি সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার করা হয় । অস্ত্র করণের পুৰ্ব্ব দিবসে রোগীকে এক মাত্রা ক্যাষ্টর অইল ও যেদিন অস্ত্র করা হয়, সেই দিবস প্রত্যুষে তাহাকে এক পাইণ্ট, দুগ্ধ দেওয়া হয় । অপারেশন বা অস্ত্রক্রিয়। —৩রা এপ্রেল বেলা ৮ টার সময় রোগীকে ক্লোরেীফম" দ্বারা অচেতন কবা হইলে পর, তাহার উদর-প্রাচীর প্রথমে সাবান জল, পরে হাইড্রাজ পারক্লোরাইড লোশন দ্বারা উত্তম রূপে ধৌত ও তত্রস্থ লোমসমূহ ক্ষর দ্বার পরিষ্কার করিয়া দেওয়া হইল। অনন্তর ডাক্তার সাহেব মধ্য রেখার উপর ও এক্ষিনফম কার্টলেজ এবং অম্বাইলাইকদের মধ্যবৰ্ত্তী স্থান হইতে আরম্ভ, করিয়া লম্বভাবে একটা ইন্সিশন প্রদান পূর্বক উহাকে নিম দিকে নাভিস্থলের ১ ইঞ্চ নিম্ন পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত করিয়া দিলেন ও এই ইনসিশনের ভিতর দিয়া উদর-প্রাচীরের গঠনগুলিকে ক্রমান্বয়ে এক একটা করিয়া কৰ্ত্তন করিলেন । এই সময়ে কয়েকট রক্তবাহ নাড়ী কাটিয়া গিয়া রক্তস্রাব হইতে থাকে ও তৎক্ষণাৎ স্পেনসার ওয়েলস্ আর্টার ফরসেপস দ্বারা ঐ রক্তস্রাব বন্ধ করা হয় । কেবল টুইট মাত্র শাখাতে টশ ন দিতে হইয়াছিল । তাহার পর তিনি একটা ফরসেপস দিয়া পেরিটোনিয়মকে ধরিয়া ও উপরে টানিয়া তাহাতে ইনসিশন প্রদান করিলেন । ঐ ইনসিশনের ছিদ্র মধ্যে বাম হস্তের তর্জনি অঙ্গলি প্রবেশ করাইয়া, তৎসাহায্যে সৰ্ব্ব প্রথমে উদরপ্রাচীরে যে ইনসিশন দেওয়া হইয়াছিল, তাহার সহিত দৈর্ঘ্যে সমান করিয়া ইহার ও দৈর্ঘ্য বৰ্দ্ধিত করিয়া দিলেন । এই রূপে অনাবৃত হইয়া প্লীহাটী দৃষ্টিপথে পত্তি হইলে দেখা গেল, উহার বর্ণ গাঢ় নীল, অt করে গোল এবং উহা সঞ্চাপনে কোমল ও স্থিতিস্থাপক । অনন্তর, পেরিটোনিয়ম আবশ্য কামুরূপ কৰ্ত্তন করা হইলে পর, তন্মধ্য দিয়া একটা হস্ত প্লীহার পশ্চাতে প্রবেশ করাইয়। পরীক্ষা করিয়া জানিলেন যে, গ্যাষ্ট্রোস্পেনিক ওমেন্টম অত্যন্ত প্রশস্ত ও স্থল এবং প্লীহার রক্তবাহ শির গুলি ংখ্যায় অনেক বেশী ও বৃহৎ । উহাদিগের ' अश একটী কনিষ্ঠাঙ্গুলির ন্যায় স্থল ও
