পাতা:ভীষ্ম - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

28 ভীষ্ম নেই। তিনি ছাড়া আমাদের বীরগণের মধ্যে অনেক রখী আছেন । দুৰ্য্যোধন, রখী, দুঃশাসন রখী, এমন কি এই নীচ সুবলনন্দন শকুনি, তাতেও রথিত্বের অনেক লক্ষণ আছে। কিন্তু রাধেয় । তোমাতে তা” নেই । সহজাত কবচ-কুণ্ডল-হীন, প্রতারণায়-ধনুর্বেদ-শিক্ষাকার দাম্ভিক অঙ্গরাজ, তুমি অৰ্দ্ধরখী। পাঁচদিনে তুমি গাওঁীবকে সংহার ক’রবে ! পাঁচদণ্ড তার বাণের মুখে দাড়িয়ে থাকবার তোমার শক্তি নাই । কর্ণ। তবে শুন রাজা দুৰ্য্যোধন। আমি প্রভিজ্ঞা ক’বুলুম, এই আত্মশ্লাঘাকারী মহাত্মা পরশুরামের কৃপায় পরশুরান-বিজয়ী এই কুরুবৃদ্ধ যতদিন জীবিত থাকবেন, ততদিন এ যুদ্ধে আমি "অস্ত্ৰ ধ’রব না। বুদ্ধ ম’লে, আমি আবার অস্ত্ৰ ধ’রে তোমার হ’য়ে পাণ্ডব-সৈন্য সংহার ক’রব। [ কর্ণের প্রস্থান । দু। কি করলেন পিতামহ ! আমার একমাত্র অন্তরঙ্গ সখা, সৰ্ব্বদা আমার হিতৈষী কর্ণের সাহায্য থেকে আমাকে বঞ্চিত করলেন! ভীষ্ম। সে তোমার হিতৈষী ? না দুয্যোধন, মুখে কাৰ্য্যে অঙ্গরাজ তোমাব হিতৈষিত করে বটে, কিন্তু ফলে সে হিতৈষী নয়। মুর্থ রাজা, শুনলে না-সত্যবাদী কৰ্ণ আমার মৃত্যু ঘোষণা ক’রে গেল ! যাও, মো সঙ্কল্প ক’রে অস্ত্ৰ ধ’রেছি, যতদিন পৰ্য্যন্ত অস্ত্ৰ ধৰ্ব্বভে অসমর্থ না হব, ততদিন পৰ্য্যন্ত অস্ত্ৰ পরিত্যাগ করব না । প্ৰতিদিন দশ সহস্র সৈন্য সংহার করব । যতদিন যুদ্ধ করব, একদিন এক মুহূৰ্ত্তের জন্যও যুদ্ধে কৃপণতা করব না। পাণ্ডবদিগের সংহার করা যদি আমার সাধ্য হয়, তাদের সংহার করতে ইতস্ততঃ ক’রব না । দু। পিতামহ ! এ হ’তে করুণার কথা আমি প্ৰত্যাশা করিনি। আপনি আমাকে ক্ষমা ক’রে যুদ্ধারম্ভ করুন। ( দুৰ্য্যোধনাদির প্রস্থান ।