পাতা:ভুতের বেগার - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূতের বেগার। পঞ্চম দৃশ্য। রান্ত । মুরলীধর ও মুকুন্দ। মুরলী। ও মুখুজ্য ! এ হইল কি! এত করিয়াও তি আনন্দের সন্ধান পাইলাম না। মুকুন্দ। ব্যস্ত হও ক্যান ! একি তোমার কোতলপুর যে দেশের মানুষ সপ্তগ্রামবাসীর সংবাদ রাখবে। এ কলকত্তা-এখানে এ বারি ও বারির সমাচার রাখে না । মুরলী। তবেই ত বিপদের কথা হইল মুখুজা । আনন্দের যদ্যপি - পীড়া হয় ত প্ৰতিবাসীতেও সংবাদ রাখবেন না । আনন্দ বঁচিবেন ক্যাম্বা । মুকুন্দ। যখন আনন্দ এ দেশে বাস করচে-তখন একটা বিবস্তু ত হইচে । তুমি আনন্দ আনন্দ করিয়া বাউরা হইচ আনন্দ তোমার কি সংবাদ বাখচে । মুবলী । আহে ভাই-মায়া৷ ” নীচগামিনী হইয়া সর্বৈব নষ্ট করাচে । আমি আনন্দ আননা করিয়া উন্মাদ হইলাম, আনন্দ হইবেন ক্যান ? শাস্ত্ৰত এমন কথা লিখছে না । মুকুন্দ। ক্ষণেক এইস্থানে অপেক্ষা কব। আমি একটু অগ্রসর হইয়া সন্ধান লইয়া আসি । মুরলী। সাবধান { হইয়া পথ চলবেন । পথে পদ বারাইলাম তো বিপদ যেন হাজার বদন বাহির করিয়া আমাগোর গ্ৰাস করবার লগে ছুটয়া আইল। বক্ষণ করা গোবিন্দী-এমন দেশেও মানুষে বাস করতি আইসে। সম্মুখে দেখলাম ত পশ্চাতে গুতা খাইলাম