পাতা:ভুতের বেগার - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূতের বেগার। জ্যেষ্ঠ চাকরী করিয়া কি করলেন, "একবার মিলাইব । দাদাত আমাগোর দুঃখী রাখিয়া চলিয়া আইছেন । মুকুন্দ। তুমিত স্বনাম ধন্য ভাগ্যবান-তোমার তুল্য পুরুষ কয়টা আছে। ক্ষণেক অপেক্ষা করেন-আমি অগ্রসর হইয়া मक्षन व्याड्ने । মুরলী। আমি যে ধনী হইছি। একথা বেটারে কই নাইধনের সংবাদ পাইলে কত শালাব পুত আসিয়া আত্মীয় হইতে চায়। একারণ আনন্দকে ধনের সংবাদ দিই নাই । মুকুন্দ। অপেক্ষা করেন-কুত্ৰাপি যাইবেন নামুরলী। সাবধানে যাইবা পথ হারাইলে, কাশীবাসের পরিবর্তে হাসপাতাল বাস হইবে । মুকুন্দ। আরে ভীত হও ক্যান-আমি হ্যািপ্তবার কলকাত্তায় আইচি । ( প্ৰস্থান ) মুরলী। এত ক্ৰোধ করছি, তবু মায়াতো ত্যাগ করতি পারছি না। স্থা গোবিন্দ । আনন্দের ঘরে কি আনন্দ লুকাইছ— কিছুই বুঝলাম না—নইলে কাশী যাইবার লেগে চরণ বারাইয়া পটলডাঙ্গার পঙ্কে মগ্ন হইছি। সর্বত্রই পঙ্ক-শালার ডাঙ্গাকে পটোল কইলা কে । দুর্গন্ধে পথের মধ্যে দারাইবার সাধ্য কিআনন্দ রে ? তবু তোর লেগে জীবন্ত এই নরক ভোগ করছি। শুনছি। আনন্দের পুত্রকন্যা হইচে- শালা আর শালীর জন্য কিঞ্চিৎ অর্থ সাথে লাইছি।--আর মুখুজ্যেকে গোপন করিয়া লক্ষ মুদ্রায় নোট পাকরীর মধ্যে রাখছি।--পুত্ৰবধুকে দেখিয়া তার হন্তে দিয়া মুখদর্শন করবো ।