পাতা:ভূগোল বিবরণ - তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায় (১৮৬৫).pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৬০ } তে শীতাত্তপের ৰম্ভস্থর আতিশষ্য সম্ভব,চারিদিক জলে বেষ্টিত বলিয়া, ততদূর হইতে পায় না। ভারতবর্ষের সহিত জুলন। করিলে এখানে শীতের অভ্যন্ত প্রান্থস্বৰ্গব। এখানকার বায়ু সজল, অনচ্ছ ও ক্ষণে উষ্ণ ক্ষণে শীতল স্বাস্থ্যের পক্ষে উহা অত্যন্তউপকারী এবং উহার এই এক বিশেষ গুণ যে অঙ্গে লাগিলে নিরবচ্ছিন্ন অলস থাকিতে কষ্ট বোধ হয়। ইংলণ্ডের পশ্চিম ভাগে প্রায় সৰ্ব্বদাই বৃষ্টিপাত হইয় থাকে। পূৰ্ব্বভাগ অপেক্ষাকৃত নিৰ্ব ষ্ট। তথার মধ্যে মধ্যে পুৰ্ব্বদিক হইভে অত্যন্ত শীতল সুতরাং অতি অসুখস্পর্শ বায়ু প্রবাহিত হয়। ইংলণ্ডের সমুদায় সমতল ভূমি উল্লর, আবাদ করিলে বিবিধ শস্য উৎপন্ন হইতে পারে, কিন্তু গবাদি ভূণজীবী পশু চরিবে বলিয়া উহার অর্থেক ভাগ অকৃষ্ট পড়িয়া থাকে। পূৰ্ব্বে ইংলণ্ডে বিস্তর অরণ্য ছিল কিন্তু কৃষির চালনা ও বাহাদুরী কাষ্ঠের প্রয়োজন হেতু ক্রমশঃ তাহার অধিকাংশ অন্তহিত হইয়াছে । এখানকার আরণ্য গুরুর মধ্যে ওক, ভূজ, এলম, আসও দেবদারু এই কয় প্রকার প্রধান । শস্যের মধ্যে গোম, যৰ 'ද් ওট অপেক্ষাকৃত প্রচুর, সুখাদ্য ফলের মধ্যে কুল, আভা, চেরি, আকরট ও পেয়ার উল্লেখের যোগ্য । ইংলেণ্ডের জারণ্য জন্তুর মধ্যে হরিণ ও বন্য-ব্লষ অপেক্ষাকৃত প্রসিদ্ধ । গ্রাম্য জন্তুর মধ্যে অশ্ব, মেৰ ও গাৰ্জী প্রধান । ইংলেণ্ডে অপৰ্য্যাগু পাথরিয়া কয়ল। ও লোহা পাওয়া যায়। তাম, সীসা ও দস্তাও যথেষ্ট উৎপন্ন হয় । . - ইংলণ্ডের অধিবাসীদিগকে ইঙ্গরেজ কহে । ইঙ্গ