পাতা:ভূগোল বিবরণ - তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায় (১৮৬৫).pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २२8 ] হইতে বিস্তর দিন লাগিত । সুভরাং ভারতবর্ষের সমুদায় পথ আবিষ্কৃত হইলেও অতি দীর্ঘকাল ব্যক্তিরেকে ভথায় গমনাগমন সম্পল্পের সম্ভাবনা ছিল না । এই সকল বিবেচনা করিয়া মহামুভব ও তদানীন্তন সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ পোতবাহী কলম্বসের মনে এই প্রশ্নের উদয় হইল ষে আত্ত্বিক বেষ্টন না করিয়া অন্য কোন সহজ পথে ভারতবর্ষে যাওয়া ঘটিতে পারে কি না ? মনেক চিন্তা ও অনুসন্ধানের পর ভঁiহার এই প্রতীতি জন্মিল ষে, ইয়ুরোপ হইতে ক্রমাগত পশ্চিম মুখে গনন করিলে অবশেষে আটলান্টিক মহাসাগরের পারে এমন কোন দেশ অবশ্যই পাওয়া যাইবেক যাহার সহিত বহায়ত ভারতবর্ষ সংযোজিত আছে । কাল সহকারে এই সিদ্ধান্ত মনোমধ্যে বদ্ধমূল হইলে তিনি প্রথমতঃ জন্মভূমি জেনোয়ার ও তদনন্তর পটু গালের কর্তৃপক্ষীয়দের নিকট আপন মত ব্যক্ত কfরয়া প্রার্থনা করিলেন “যদি কৃপা করিয়া সমুদ্র গমনের সমুদায় উপকরণ প্রদান করেন, তাহা হইলে আমি আটলান্টিক অতিক্রমণ দ্বারা ভারতবর্ষে যাইবার এক স্থতন পথ প্রকাশ করিয়া দি” । ক্রমান্বয়ে উভয় স্থানেই উtহার প্রার্থন নিষ্ফল হইল । তখন, ১৪৮৪ খৃঃ অব্দে, স্পেন দেশে আসিয়া পূৰ্ব্বোল্লিখিত মৰ্ম্মে ভদ্র ভ্য রাজার সমীপে আবেদন করিলেন । এখানেও পাছে প্রার্থনা বিফল হয় এই আশঙ্কা করিয়া আপনার এক শ্যালকৰুে ইখলঞ্জীয় রাজার নিকট পাঠাইয়া দিলেন । র্তাহার অগুরুতপুৰ্ব্ব মত প্রচারিত হইলে অনেকে অনেক প্রকার কহিতে লাগিল । কেহ ভঁাহাকে বাতুল ও