পাতা:ভূগোল বিবরণ - তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায় (১৮৬৫).pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৩ ] লৌহ, মোরা ও পাথরিয়া কয়লার খনি আছে। নানা বিধ মণি ও অতি শুভ্র বর্ণের মাৰ্ব্বল প্রস্তরও এখানকার খনিতে উৎপন্ন হয় । এদেশের ভূগর্ভে এক প্রকার ভৈল পাওয়া যায় ; লোকে গভীর কুপ খনন করিয়৷ ঐ তৈল উত্তোলন করে এবং প্রদীপে জ্বালাইয়। থাকে ভারতবর্ষে যে সকল আরণ্য তরু জন্মে এ দেশেও প্রায় সেই সকল আরণ্য তরু জন্মিয়া থাকে । উষ্ট, ভিন্ন ভারতবর্ষের প্রায় সমুদায় জন্তু এ দেশে দেখিতে পাওয় যায় । এদেশের অশ্ব খৰ্ব্বকায় কিন্তু কষ্টসহ ও দ্রুতগামী । পেগুর টাউ, সৰ্ব্বত্র প্রসিদ্ধ । এদেশে বিস্তর হস্তী জন্মে । তন্মধ্যে কতকগুলি শ্বেতবর্ণেরও দেখিতে পাওয়া যায় । বৰ্ম্মাবাসীর শ্বেত হস্তীর অভিশয় সমাদর করে। তাহার" ইহাকে রাজ্যের অত্যন্ত মঙ্গল কর জ্ঞান করিয়া থাকে { রাজপ্রাসাদের অতি সন্নিধ্যে শ্বেত হস্তীর একটা প্রাসাদ আছে । ঐ প্রাসাদ কোন অংশেই রাজপ্রাসাদের অপেক্ষা হীন নহে। উহাতে হস্তীর শয়নের নিমিত্ত একটী অস্তি সুন্দর মকমলের শয্যা বিস্তীর্ণ থাকে। হস্তীর সম্মুখের পদদ্বয় রজত শুস্থলে বদ্ধ, এবং তাহার অঙ্গ নানাপ্রকার হীরক-খচিত স্বর্ণালঙ্কারে বিভূষিত ; তাহার পানদান, পীক দান ও ভোজনপত্র সমুদায় সুবর্ণ নিৰ্ম্মিত। তাহার সেবায় অস্থান সহ অ লোক নিযুক্ত থাকে । রাজrমধ্যে শ্বেত হস্তীর তুল্য মহামান্য প্রজা আর দ্বিতীয় নাই । একটা শ্বেত হস্তীর মৃত্যু হইলে, যত দিন অর একটা শ্বে ভ হস্তী ন পাওয়া যায়, ভভ দিন বৰ্ম্মার লোক রাজ্যের মহা অনিষ্ট আশঙ্কা করে ।