পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ so 8 ] ইয়ুরোপীয় তুরুষ্কের অধিবাসীরা মুত্র, সাহসী,সবলশরীর, আতিথেয় ও গম্ভীরপ্রকৃতি ; কিন্তু অধিকাংশই মূখও গর্বিত। এ দেশে সীমান্য বিদ্যালয় অনেক আছে তথায় বর্ণপরিচয়, বানান, ব্যাকরণ প্রভৃতি প্রথম পাঠ্য বিষয় সকলের শিক্ষা হয়। এই সকল বিদ্যালয় ভিন্ন যেখানে যেখানে রাজার মসিদ আছে সেই সেই খানে এক এক মাদ্রাসা অর্থাৎ প্রধান বিদ্যালয় সংস্থাপিত আছে । মাদ্রাসায় যাজন ও ওকালতী কৰ্ম্মাকাঙ্ক্ষী ছাত্রের অধ্যয়ন করে । তাহার প্রথমে আরবী ব্যাকরণ,পরে আরবী ও পারসীর কাব্য ও অলঙ্কার পড়ে। আরবী ভাষায় বিলক্ষণ অধিকার জন্মিলে কোরান ও ব্যবহার শাস্ত্র অধ্যয়ন করে। অবশেষে আরব দেশীয় প্রাচীন পণ্ডিতগণ প্রণীত তক দর্শন ও মনোবিজ্ঞান শাস্ত্ৰ পড়িয়া পাঠ সমাপ্ত করে । ইহার গণিতশাস্ত্র সপর্শও করে না । তুরুষ্কের অধিপতি অতীব যথেচ্ছাচারী। র্তাহাকে সচরাচর সুলতান কহে । স্বীয় রাজ্য মধ্যে তিনিই অদ্বিতীয় প্রধান, মুসলমান ধৰ্ম্ম সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে তঁহারই সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব। তিনি প্রতিদিন চতুর্দশ ব্যক্তির প্রাণবধ করিতে পারেন; তাহাতে কিছু মাত্র দোষ বা পাতিত্য আছে এমন জ্ঞান করেন না। এইরূপে খুন করিবার ক্ষমতা আছে বলিয়া তাহার একটা উপাধি খুনকার । উক্তির একজন প্রধান অমাত্য থাকে । সেই অমাত্যকে উজির বলে । সন্ধি বিগ্রহাদি যাবতীয় রাজকর্য্যের ভার উজিরের হস্তে সমৰ্পিত । ধৰ্ম্মসংক্রান্ত বিষয় সকলের পর্য্যবেক্ষণের নিমিত্ত এক জন রাজপুরুষ নিযুক্ত থাকে। সেই রাজপুরুষকে মুফতি বলে। ইয়ুরোপীয় ও আসিয়িক তুরুস্ক, আরবের কিয়দংশ, এবং উত্তর আফ্রিকাব অন্তর্গত বার্ক ও টীপলি তুরুন্ধ