পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১২০ } জন্তুই তত্ৰত কৃষকদিগের প্রধান সম্পত্তি। এ দেশে যে সকল দ্রব্যের চাস হয় তন্মধ্যে গোম, শণ, পাট, মgিষ্ঠা ও তামাক প্রধান । হু লণ্ডের জন্তুবর্গ তাহার সন্নিহিত আর আর দেশ সকলের জন্তুবৰ্গ হইতে অধিক ভিন্ন নহে। এ জন্য বিশেষ করিয়া উল্লেখ করা গেল না । হলগুবাসীদিগকে ওলন্দাজ বলে। যত্ন ও পরিশ্রমের অসাধ্য কিছুই নাই ওলোন্দাজের একথা বিলক্ষণ সার্থক করিয়ছে। পূৰ্বে উল্লিখিত হইয়াছে যে হলণ্ড মধ্যে মধ্যে সমুদ্রজলে নিমগ্ন হইত। ওলোন্দাজের অপরিসীম পরিশ্রম বলে সমুদ্রকে স্বদেশ হইতে দূরীকৃত করিয়া এক প্রকার কারারুদ্ধ করিয়া রাখিয়াছে। ইহাদের পরিশ্রম স্বরূপ ইন্দ্রজালে সমুদ্রতটের বালুকারাশিও আত্মস্বভাব বিস্মৃত হইয়া শস্য প্রসব করিতেছে। ইহার কৃষিকর্মে যে রূপ পরিশ্রমা শিল্প কৰ্ম্মেও সেই রূপ। ইহাদের শিল্পকৰ্ম্ম বহু বিস্তুত ; তন্মধ্যে বস্ত্র বয়ন, জিন নামক মদির প্রস্তুত করণের পারিপাটা, মৃণায় পাত্রের গঠন ও জঙ্গাজাদি নিৰ্ম্মাণের প্রকরণ সৰ্বত্র প্রশংসনীয়। কিন্তু সৰ্বাপেক্ষা বাণিজ্যই ইহাদের শ্ৰীবৃদ্ধির প্রধান কারণ । খৃষ্ঠায় ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে স্পেনের দাসত্ব হইতে মুক্ত হওয়ার পর অবধি ইহারা পৃথিবীর প্রায় সকল ভাগেই বাণিজ্য বিস্তার করিয়াছিল। মধ্যে বোনাপাটির দৌরাত্ম্যে কিঞ্চিৎ ভগ্ন পড়ে । এক্ষণে সে দৌরাত্ম্য একেবারে তিরোহিত হইয়াছে । সুতরাং ইহাদের পূর্ব প্রাধুন্য পুনঃ প্রাপ্তির শুভ সুযোগ উপস্থিত। ইয়রোপের মধ্যে “འི་ར་ཤ་མྱྀ ভিন্ন হলণ্ডের তুল্য বিভবশালী দেশ আর নাই । ওলোনদাজের যেমন প রিশ্রমী তেমনি মিতব্যয়ী } ইহার সংস্বভাব কিন্তু আত্মম্ভরী ও অত্যন্ত অভিমানী । কোন বিচক্ষণ