পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ >२९ } বেলজিয়মের দক্ষিণ প্রান্ত উন্নত ও বন্ধুর, উত্তরভাগ সমতল ও সাগর পৃষ্ঠ হইতে অধিক উচ্চ নহে ; এই ভাগের ভূমি সৰ্বত্র নদী ও কৃত্রিম সরিতে পরিষিক্ত ; গোষ্ঠ, বিপিন ও শস্য ক্ষেত্রে বিভূষিত এবং অগণ্য জনপূর্ণ গ্রাম ও নগরে মণ্ডিত । সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস হইতে রক্ষার নিমিত্ত, হলগুৈর মত, এদেশের উত্তর ভাগেও অনেক সেতু সংঘটিত আছে । বেলজিয়মে হলণ্ডের অপেক্ষ শীতের অপে প্রাদুর্ভাব, ইহার আকাশও তত সজল থাকে না । ভূমি, স্বভাবতঃ উর্বর নহে, কিন্তু কৃষিকর্মের ঔৎকর্ষে এত শস্য প্রসব করে মে. লোকে উতাকে ইয়রোপের উদ্যান বলিয়া আখ্যা প্রদান করিয়াছে। গোম, রাষ্ট, পাট, শণ, ওট, তামাক, ও মঞ্জিষ্ঠা এ দেশের প্রধান উৎপন্ন। অরণ্যে ওক ভূৰ্জ্জ ও আস প্রভৃতি অনেক প্রকার রক্ষ জন্মে, কিন্তু সুখাদ্য ফলের রক্ষ এদেশে অধিক নাই । এখানে সীমান্য গ্ৰাম্য জন্তু প্রায় সকলই পাওয়া যায় । গোষ্ঠ সকলে অপৰ্য্যাপ্ত তৃণ জন্মে এজন্য এখানকার তৃণভোজী পশুর সচরাচর অতি হৃষ্টপুষ্ট হইয়া থাকে। আকরিকের মধ্যে পাথরিয়া কয়লা অতি প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয় ; লৌহ, তাম্র. সীস, গন্ধক ও ফটকিরিও স্থানে স্থানে পাওয়া যায় । বেলজিয়মের অধিবাসীদিগকে বেলজিয়ান বলে । বেলজিয়ানের অতিশয় পরিশ্রমী ও শিল্পকুশল। জরি, পট্টবস্ত্র, ধাতুনির্মিত বিবিধ দ্রব্য, ও নানা প্রকার কল এদেশে অতি উৎকৃষ্ট প্রস্তুত হয় । ইহাদের বাণিজ্য দিন দিন প্রচীয়মান হইতেছে। এদেশে প্রদেশ ভেদে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা প্রচলিত, কিন্তু লোকে প্রায়ই ফরাশি ভাষায় কথা বৰ্ত্ত কহে এবং সেই ভাষাই সমুদায় আদালতে ব্যবহৃত।