পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ > २4 ] উনবিংশতি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রায় প্রত্যেক প্রধান নগরে এক এক প্রধান বিদ্যালয় সংস্থাপিত আছে । তদ্ব্যতিরেকে অলপ পাঠী বালকদিগের অধ্যয়নের নিমিত্ত সীমান্য বিদ্যালয় দ্বারে স্বারে আছে বলিলেই হয়। বিদ্যালয়ে অধ্যয়নের ব্যয় স্বম্প ; নিতান্ত জড়বুদ্ধি অথবা চিরকাল মুখ থাকিব বলিযা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ না হইলে সকলেই অনায়াসে অন্ততঃ লিখন, পঠন ও অঙ্ক শিক্ষা করিতে পারে । সমুদায় নিয়মিত বিদ্যালয় ব্যতিরেকে জর্মনির স্থানে স্থানে বহুসংখ্যক বিদ্যাবিষয়িণী সভা সংস্থাপিত আছে তথায় পণ্ডিতেরা বিবিধ বিদ্যার আলোচনা করিয়া থাকেল | জৰ্ম্মনির অধিবাসীদিগকে জর্মন কহে । জৰ্ম্মনের সুশ্রী ও দীর্ঘকায় । সারলা, মিতব্যয়, আতিথেয়তা, প্রগাঢপরিশ্রম ও অবিচলিত অধ্যবসায় ইতাদের চরিত্রের প্রধান লক্ষণ | দোষের মধ্যে ইহারা বিজাতীয় কুলাভিমানী। বিবিধ শিপেকৰ্ম্মে ইহাদের বিশেষ নৈপুণ্য । বাণিজ্যে ইহারা তাদৃশ শ্রেষ্ঠ নহে । জার্মনির শাসন প্রণালী অতিশয় জটিল । এই দেশ স্ব স্ব প্রধান চত্বারিংশৎ রাজ্যে বিভক্ত, সেই সমুদায় রাজ্য পরস্পরের রক্ষা ও সহায়তার নিমিত্ত সন্ধিস্থত্রে বদ্ধ । তাহারা সকলে মিলিত হইয় একটা সভা সংস্থাপিত করিয়াছে, ঐ সভাকে ভায়ট কহে । তথায় সমুদায় রাজ্য হইতে প্রতিনিধি আসিয়া সমাবিষ্ট হয় ; অস্ত্রিয়ার অধিপতির প্রতিনিধি এই সভার অধ্যক্ষ। ষাহাতে সমুদায় মিলিত রাজ্যের কুশল ও পরস্পরের ঐক্য থাকে, এই সভায় তৎসম্পৰ্কীয় বিষয় সকলের পর্য্যালোচনা হইয়া থাকে ; তাহাতে যাহ সিদ্ধাস্ত হয় সকল রাজ্যকেই তদনুরূপ কাৰ্য্য করিতে হয় । সম্মিলিত রাজ্য সকলের রাজকাৰ্য্য দুই প্রকারে সম্পন্ন হয়। প্রত্যেক রাজ্য আপন আপন আইন ও শাসন প্রণালীর অনুবত্তী 総 \。