পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ > ○p l আপেীয় প্রদেশে ইয়রোপের অন্যান্য সমুদায় স্থান অপেক্ষ অধিক বৃষ্টি পতিত হয় । অস্ত্রিয় সাম্রাজ্যের দক্ষিণ ভাগের ভূমি উর্বর । তথায় যথেষ্ট শস্য জন্মে। উত্তরভাগ তাদৃশ উর্বর নহে । অস্ত্রিয়া সাম্রাজ্য আকরিক সম্পত্তির নিমিত্ত আতিশয় প্রসিদ্ধ। স্বর্ণ, রৌপ্য, তাত্র ও পারদ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এখানকার লৌহ অতিশয় উৎকৃষ্ট এবং সাম্রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই প্রচুর পরিমাণে নিহিত। এখানে পাথরিয়া কয়লা, সৈন্ধব লবণ ও নানাবিধ বহুমূল্য প্রস্তরের আকর আছে । এ সমুদায় ভিন্ন অন্যান্য প্রকার আকরিক ও অলপ বা অধিক পরিমাণে উৎপন্ন হইয়া থাকে । জৰ্ম্মনিতে যে সকল জন্তু পাওয়া যায় অস্ত্রিয়াতেও সেই সমুদায় পাওয়া গিয়া থাকে। অস্ত্রিয় সাম্রাজ্যে নানা জাতীয় লোকের বাস । তাহ - দের ভাষা ও আচার ব্যবহার পরস্পর ভিন্ন ভিন্ন । এদেশের সমুদায় বিচারালয়ে ও চতুষ্পাঠীতে জর্মন ভাষা প্রচলিত । এষ্ট সাম্রাজ্যের প্রায় সৰ্বত্রই, অলপ পাঠা লালকদিগের নিমিত্ত, সীমান্য পাঠশালা সংস্থাপিত ইয়াছে কিন্তু যত পাঠশালার প্রয়োজন হঙ্গেরি প্রভৃতি দুরতর প্রদেশে অদাপি তত সংস্থাপিত হয় নাই। অস্ত্রিয় সম্রাজ্যে এমন কোন লিখিত নিয়ম নাই যে বালক মাত্রকেই পাঠশালায় প্রবিষ্ট হইতে কষ্টবে কিন্তু লেখাপড়া না শিথিলে কেহই কোন রূপ বিষয় কৰ্ম্ম প্রাপ্ত হয় না ও দারপরিগ্রহ করতে পায় না, সুতরাং প্রাগুক্ত নিয়ম নাই বলিয়া কেহই বিদ্যানুশীলনে ত{চ্ছল্য করিতে পারে না। সামান্য স্কুল ও নয়টা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতিরেকে এখানে আরও অনেক প্রধান বিদ্যালয় আছে।