পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১ ৩৬ ] কৃষিকর্থের পক্ষে স্থইজলণ্ডের ভূমি অনুকূল নহে। এখানকার কৃষকের অপরিমিত পরিশ্রম করে তথাপি মৃfত্তকার দোষে যথেষ্ট শস্য লাভ করিতে পারে না । এদেশের গিরিতটে অনেক প্রকার গঠনকাষ্ঠ পাওয়া যায় । ভালুক, স্যামইজ* মার্মট, ও পাহাড়ে ছাগল এ দেশের প্রধান আরণ্য জন্তু। গ্রাম্য জন্তুর মধ্যে এখানকার কুকুর অতিশয় পুসিদ্ধ । এ দেশের পর্বত দেখিয়া আপাততঃ ইহাকে নানা বিধ বহুমূল্য ধাতুর আকর বলিয়া বোধ হয় । কিন্তু বাস্তবিক তাহ নহে । লৌহের খনিই অধিক , আর রোপ্য, তাত্র ও সীসকও স্থানে স্থানে পাওয়া যায় । সুইজলপ্তবাসীfদগকে সুইস কহে। ইহার সাহসী মিতবায়ী, পরিশ্রমা, স্বদেশপ্রিয় ও প্রবঞ্চনামূন্য । ইহার নানা প্রকার শিল্পকর্ম করিয়া থাকে, তন্মধ্যে ঘটিকা মন্ত্র নির্মাণে বিশেষ নৈপুণ্য প্রকাশ করে। জেনিবা নগরের ক্ষুদ্র ঘড়ী অতিশয় প্ৰসিদ্ধ। বিদ্যাশিক্ষা বিষয়ে সুইসদিগের অত্যন্ত মনোযোগ । এ দেশে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বিদ্যালয় অনেক আছে । সুইজলণ্ড দ্বাবিংশতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে বিভক্ত। প্রত্যেক ভাগকে এক এক কাণ্টন কহে । পুত্যেক কাণ্টন এক এক স্ব স্ব প্রধান সাধারণ তন্ত্র । সেই সমুদায় সাধারণ তন্ত্র মিলিভ এইয়। এক সভা সংস্থাপিত করিয়াছে। ঐ সভাকে ডায়ট কহে । তথায় সমুদায় সাধারণতন্ত্র হইতে প্রতিনিধি আসিয়া সমাবিষ্ট হয় । সুইজলপ্তের যাবতীয় সাধারণ বিষয় ও বিদে

  • ছাগ জাতীয় এক প্রকার চতুশ্পদ । + খরগস প্লাষ্ট্ৰীয় এক প্রকার জন্তু ।