পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ > 8७ ] আf-ষিক্ত আছেন। উহাকে মহারাণী বিকটোরিয়া কহে । মতপ্রাণী ও তদীয় মন্ত্ৰিগণ যাহাতে যাবতীয় আইনের যথাবিহিত কার্য হয় তদবলোকন করেন। কিন্তু উহাদের আইন প্রস্তুত করিবার ক্ষমতা নাই। ইংলণ্ডে পলিমেন্ট গ্রীমে সভা আছে, সেই সভায় যাবতীয় আইন প্রস্তুত হয়। পালিমেণ্ট ষ্টে সমাজে বিভক্ত । ইংলণ্ডের যাবতীয় সম্ভান্ত লোক ও প্রধান প্রধান ষজক এবং স্কটলগু ও অয়লণ্ড প্রেরিত কতিপয় সস্তু"স্ত পুরুষ ও প্রধান যাজক এক সমাজের সভ্য । এই সমাজকে হাউস অব লর্ডস অর্থাৎ সঙ্গীগুদিগের সমাজ কহে । অন্য সমাজে রটন রাজ্যবাসী অবশিষ্ট যাব তীয় প্রজার প্রতিনিধি স্বরূপ কতকগুলি সভ্য উপস্থিত থাকেন । এই সমাজকে হাউস তাপ কমন্স অর্থাৎ সীমান্য লোকদিগের সমাজ কহে। এই দুই সমাজের মধ্যে সামান্য লোকদিগের সমাজ অপেক্ষাকৃত অধিক ক্ষমতপন্ন | ই হার আদেশ ব্যতিরেকে গবর্ণমেণ্ট কোন প্রকার স্বতন শুল্পের স্বাক্ট করিতে পারেন না এবং রাজ্য সংক্রান্ত কোন অসাধারণ ব্যয় উপস্থিত হইলে যাবৎ এট সমাজ সেই ব্যয়ে স্বীকৃত না হয় তাবৎ গবর্ণমেণ্ট উহা আদায় কfরতে পারেন মা ; শাসন সংক্রান্ত বিষয়ে কোনরূপ অন্যায়াচরণ হইলে রাজমন্ত্রীদিগকে পালিমেণ্টের নিকট দায়ী হইতে হয় এবং বিচারে দোষী স্থির হইলে পালিমেণ্ট তাহাদিগের দণ্ড বিধান করিয়া থাকেন । পলিমেণ্ট হইতে যাবতীয় আইনের পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত হইয়া সম্মতির নিমিত্ত মহারাণীর নিকট প্রেরিত হয় । তাহার সম্মতি হইলে উহা সমুদায় রাজ্যের অখশুনায় আইন হইয় উঠে। কতিপয় নিৰ্দ্ধারিত বিষয়ে মহারাণী পলিমেণ্টের বিনা সন্মতিতে কার্য্য করিতে পারেন । সেই ক্ষমতাকে রাজকীয় বিশেষ ক্ষমত (রয়েল প্রিরগেটিব) কহে ।