পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ۹ ني ډ } উদ্ভিদের ন্যায়। কৃষিকৰ্ম্ম অপেক্ষাকৃত কদৰ্য্য । এই দেশের দক্ষিণভাগে স্থানে স্থানে অতি সতেজ তৃণ গুলমাদি দৃষ্ট হইয়া থাকে, কিন্তু সেই সকল স্থান এরূপ অস্বাস্থ্যকর যে তাহার প্রায় সর্বত্রই নিমনুষ্য । কোন প্রকার গ্রাম্যজন্তুও তৎসমুদায়ে তিষ্ঠিতে পারে না । তথায় জলে জলহস্তী ও অতি ভয়ঙ্কর কুম্ভীর এবং স্থলে সিংহ, গণ্ডার ও জিরাফ* দৃষ্ট হইয়া থাকে। নিউবিয়ার অধিবাসীরা তিন প্রধান সম্প্রদায়ে বিভক্ত , আরব, কাঙ্কি ও আদিম নিউবীয়। আদিম নিউৰীয়ের প্রাচীন মৈসরদিগের বংশ। ইহারা কপ্টদিগের অপেক্ষ অধিক অমিশ্রিত রহিয়াছে। এদেশে লেখা পড়ার চর্চা অধিক নাই, কৃষিকৰ্ম্ম ও নিকটবৰ্ত্তী দেশ সরুলের সহিত বাণিজ্যই লোকের প্রধান উপজীবিকা । পুৰ্বে নিউবিয়ায় অনেক স্ব স্ব প্রধান রাজা ছিল । অধুনা প্রায় সমৃদয়ে দেশই মিসরের পাসার অধীন। প্রাচীনকালে এই দেশ অতিশয় বিভবশালী ছিল । বহুল পিরামিড ও ভগ্নাবশিষ্ট মন্দির ইহার অতীত প্রাধান্যের সাক্ষ্য প্রদান করিয়া থাকে। ইয়রোপের প্রাচীন ভূগোলবেত্তারা নিউবিয়া ও আবিসিনিয়া এই উভয় দেশকে ইথিয়োপিয়! কহিতেন । নিউবিয়ার রাজধানী সেনার ।

  • এক প্রকার চতুষ্ণপদ । ইহার স্কন্ধদেশ ও সমু খঞ্জ পদদ্বয় অতীব উচ্চ, নিতম্ব ও পশ্চাতের পদদ্ধর অপেক্ষাকৃত অনেক নিয় । গ্রীব দীর্ঘ, মৰক ক্ষুদ্র, মুখ উষ্ট্রের ন্যায় এবং শরীর ঈষৎ পিঙ্গল ও মধ্যে মধ্যে কৃষ্ণবর্ণ ছাবে অঙ্কিত। এই জন্তুর প্রকৃতি আতিশয় ধীর । কাহারও কোন রূপ অনিষ্ট করে না । ভয় পাইলে পলাইয়া যায়। কিন্তু একান্তই শত্রুর সমুখীন হইতে হইলে আত্মরক্ষার নিমিৰ পদাঘাত করিয়া থাকে।