পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 3 అసి ! সিনিয়ায় প্রায় সৰ্বত্রই নানা প্রকার মুরভি কুসুম প্রস্ফুটিত হয় তৎসমুদায়ের স্বগন্ধে চতুৰ্দ্দিগ আমোদিত থাকে। আবিসিনিয়ায় অনেক স্থানে লোহ, তাম্র, সীস ও গন্ধক পাওয়া যায় । রৌপ্য ও অতি উৎকৃষ্ট সুবর্ণও পাওয়া যায় বলিয়া খ্যাতি আছে । দেশের বায়ুকোণে টাজির নামক প্রদেশে একটা বিস্তীর্ণ লবণ ক্ষেত্র আছে। তাছাতে অপৰ্য্যাপ্ত লবণ উৎপন্ন হয় । আবিসিমিয়ার গ্রাম্য জন্তুর মধ্যে রষ, অশ্ব, গর্দভ ও অশ্বতর প্রধান। গ্রাম্যেতর জন্তুর মধ্যে সিংহ, দ্বীপী, কুম্ভীর, বন্যমহিষ, বন্যশূকর, দ্বিখড়নগণ্ডার, জলহস্তী, জিরাফ ও গেজেলা প্রসিদ্ধ। এদেশে নাম প্রকার বিরক্তিকর পতঙ্গ উৎপন্ন হয় । তাহারা যৎপরোনস্তি উৎপাত করে । সেই সমুদায় পতঙ্গের মধ্যে সান্টমাল্য নামক পতঙ্গ অতিশয় বিরক্তিকর, উহার জালায় সিংহকেও অস্তির হইয়া পলায়ন করিতে হয় । এই পতঙ্গের অবয়ব মৌমাছির অপেক্ষা কিঞ্চিৎ বড়। ডান অতি পরিস্কৃত গাজের মত, মাথা ডাগর এবং মুখে শূকরের সটার ন্যায় তিন গাছ অতি শক্ত শৃ য়া দেখিতে পাওয়া যায়। গাভি সকল মে মাত্র ইহাকে দৃষ্টি করে কিম্বা ইহার বজ বজ ধ্বনি শুনিতে পায় তৎক্ষণং মুখের কবল পরিত্যাগ করিয়া উন্মত্তপ্রায় হইয়া দোঁড়িতে আরম্ভ করে এবং তয়ে, পধিপ্রমে ও অনাহারে অভিভূত হইয়া ক্রমে ক্রমে এক একটা করিয়া মরিতে থাকে। আবিসিনিয়ার উত্তর পূর্বের অধিবসিাদিগকে ইজাদের দৌরাত্ম্যে প্রতি বৎসর এক এক বার + কৃষ্ণসার জাতীয় চতুৰ্যপদ। ইহার অবয়ব, গাত্রের ও প্রকৃতির সৌকুমাৰ্য্য হরিণের ন্যায় ; চক্ষুও অতিশয় সুন্দর ও উজ্জ্বল । কিন্তু শৃঙ্গ অঙ্গের শৃঙ্গের ন্যায় ফাপ ও অক্ষণভঙ্গুর ; অঙ্গের নাম এই জন্ম স্ট্র রুমগ ভক্ষণ করে ।