পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১ ৭৩ ] করিয়াছে। ইহার প্রধান নগর অলজিয়স, ওরাম, টি মিজেম, বন ও কনষ্টান্সিয় | খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে এই রাজ্য তুরুস্কায় মুলতানের অধীন হইয়া তল্পিযুক্ত এক জন পাসার দ্বারা শাসিত হইতে আরম্ভ হয়। কালক্রমে এখানকার পাসার সেন সহায় করিয়া সুলতানের বশ্যত অস্বীকার করে । অতীত তিনশত বৎসর কাল আলজিরিয়াবাসীরা আপনাদের নিকটবৰ্ত্তী সমুদ্রে নিয়ত দস্থ্যৱত্তি করিত । ইহাদের প্রতাপে ইয়রোপীয় অনেক চক্রবভীকে স্ব স্ব রাজ্যের বণিজপোত সকলের রক্ষার নিমিত্ত ইহাদিগকে কর প্রদান করিতে হইত। ই ছাদের দমনের নিমিত্ত বারংবার যত্ন হয় কিন্তু তম্ভাবখই বিফল হইয়া যায়। পরে ১৮১৬ খৃঃ অব্দে এক দল ইঙ্গরেজ সেন ইতাদের প্রধান নগর অবরোধ করে এবং ১৮৩১ খৃঃ অব্দে ফরাশির কোন অবমাননার প্রতিফল দিবার জন্য আলজিরিয়ায় একদল সৈন্য প্রেরণ করে । সেনারা যাইয় রাজধানী আক্রমণ ও হস্তগত করাতে সমুদায় রাজ্য ফুন্সের অধিকার মধ্যে ভুক্ত হইয়া আসিয়াছে। টুনিস—আলজিরিয়ার পূর্ব। এই রাজ্য একটা সুদীঘ উপস্বীপ। ইহার সৰ্বোত্তর প্রান্ত, বন অন্তরীপ, সিসিলি দ্বীপ হইতে পয়তাল্লিশ ক্রোশের অপেক্ষাও অলপ অস্তর । এই রাজ্যও পূৰ্বে তুরুষ্কের অধীন ছিল এবং একজন পাসার দ্বারা শfসিত হুইত ; অধুনা স্বাধীন হুইয়াছে । ইহার রাজাকে বে কহে । তিনি আপন প্রজাদিগের প্রতি অতীব যথেচ্ছাচারী কিন্তু ইয়ুরোপীয় খৃষ্টান চক্রবর্তীদিগের সহিত সদ্ভাব রক্ষা করেন । এই রাজ্যে বিবিধ বাণিজ্য সম্পন্ন হয় । ইহার রাজধানী টুনিস। মুস, কেবিস ও কেরোয়াল ইহার আর তিনটা প্রধান নগর । শেষোক্ত নগর মুসলমানদিগের এক মহা