পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 4 ל ל ] পীতবর্ণ, অন্য প্রকার কৃষ্ণকায় । কৃষ্ণকায় সিংহ অত্যন্ত ভয়স্কর ও বীর্য্যবান । বিড়াল যেরূপে অনায়াসে ইন্দুর লইয়। যায়, এই সিংহও সেই রূপে অনায়সে রহৎকায় ষাড় ও ঘোড়া লইয়। যাইতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকায় জলহস্তী অনেক । এখানকার লোকে উহার মাংস ভক্ষণ করিয়া থাকে। এদেশে উটপাখী ও অন্যান্য নানা প্রকার পক্ষী দেখা যায়। তন্মধ্যে এক জাতীয় পক্ষী সপের বিষম শত্রু, আর এক জাতীয় পক্ষী পতঙ্গপালের ষম, অপর এক জাতীয় পক্ষী বন্যমধু প্রদর্শন করার জন্য অতিশয় প্রসিদ্ধ। যেখানে মধু থাকিবার সম্ভাবনা মধুপ্রয়াসী ব্যক্তিরা তথায় যাইয় এক প্রকার শিশ দেয় । যদি সেখানে বস্তুতই মধু থাকে ঐ পক্ষীও তাহার নিকটবৰ্ত্তী কোন স্থানে অবশ্যই থাকে এবং শিশ শুনিবা মাত্র আসিয়া উপস্থিত হয় ও মৌচাক কোথায় আছে দেখাইয় দেয় । এখানে ঔপনিবেশিকের সকল প্রকার ইয়ুরোপীয় গ্রাম্য জন্তুই আনয়ন করিয়াছে । এদেশায় আদিম গ্রাম্য জন্তুর মধ্যে অশ্ব, ষণ্ড ও মেষ প্রধান । মেষের পুচ্ছে ও নিতম্বে চৰ্বি জন্মে, পুচ্ছ সচরাচর তিন সের হইতে ছয় সের পর্য্যন্ত তার হইয়া থাকে, গলাইলে তৈলব ও এক প্রকার ক্ষে স্থ ভ্ৰব্য নির্গত হয় । ওলন্দাজের তদার নবনীতের কার্য্য নিৰ্বাহ করে এবং ইঙ্গরেজের সবান প্রস্তুত করিয়া থাকে । এখানকার আকরিকের মধ্যে তাম্র ও লবণ প্রধান । অরেঞ্জ নদীর মোকানীয তাত্র প্রাপ্ত হওয়া মায় ; হ্রদ ও পুষ্করিণীর জলে লবণ উৎপন্ন হইয় থাকে ৭ খৃষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ওলন্দাজের আসিয়া এই দেশে জনস্থান সংস্থাপিত করে। ঐ শতাব্দীর শেষভাগে বহু সংখ্যক ফরাশিরা আসিয় তাহীদের সহিত মিলিত হয়। br .8ب