পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ r ] ও বালুকাময় নয় পঙ্কিল ও কদৰ্য্য উদ্ভিদে আচ্ছন্ন। গিনির ভূতল তাদৃশ বালকাময় নহে, তথায় বিশাল তরু ও ঘন গুল্ম পূর্ণ নিবিড় অরণ্যই অধিক । পশ্চিম আফ্রিকায় গ্রীষ্মের অত্যন্ত প্রাচুর্ভাৰ ও বায়ু সতত সজল । এই উভয় কারণে এই ভূভাগ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। আফিকার এই ভাগে মনুষ্যের আহারোপযোগী উদ্ভিদ প্রায় সকল প্রকারই প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়। বনে নারিকেল, অস্ত্র, কমললেবু, কলম্বালেবু ও তেঁতুল যথেষ্ট পাওয়া যায়। সিয়া নামে এক প্রকার রক্ষ জন্মে তাহার নির্যাসে নবনীত প্রস্তুত হয়, বেয়বের নামে আর এক প্রকার বৃক্ষ জন্মে অদ্যাপি তাহার অপেক্ষ বড় রক্ষ দৃষ্ট হয় নাই । ইহার গুড়ির বেড় সচরাচর ষাটি পয়যfউ হাত ইয়া থাকে কিন্তু কাষ্ঠ অতিশয় অস’র। বেয়বেবের ফল কাফুিদিগের এক প্রধান জীবনোপায় । এদেশীয় এক প্রকার রক্ষের নির্যাস অত্যন্ত বহু মূল্য এবং তালজাতীয় আর এক প্রকার বৃক্ষের ফলে তৈল প্রস্তুত হইয়া থাকে। সেই তৈল বর্ষে বর্ষে অতি প্রচুর পরিমাণে ইয়ুরোপে প্রেরিত হয়। তাহাকে তালীতৈল বলা যাইতে পারে। এখানকার কাপাস অতি উৎকৃষ্ট, । পুষ্পও নানা প্রকার প্রাপ্ত হওয়া যায় । আফ্রিকার অন্যান্য ভাগে যে সমুদায় প্রধান প্রধান জন্তুর উল্লেখ করা গিয়াছে এখানেও সেই সমুদায়ই আছে। এখানে হস্তী অনেক এজন্য হস্তিদন্ত অতি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এখানকার অনেক সরীসৃপ অত্যন্ত ভয়ানক ও পতঙ্গ অতিশয় বিরক্তিকর । পশ্চিম আফ্রিকায় নদীর বালুকায় মুবর্ণ পাওয়া যায় ; অন্যান্য ধাতুর বিষয় অদ্যাপি বিশিষ্টরূপে জানা যায় নাই।