পাতা:ভূগোল বৃত্তান্ত - উইলিয়াম হপকিন্স পিয়ার্স.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৷৹

যে আমরা, আমরা পরমেশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি; কেননা এ দেশে বরফদ্বারা শীত ও বালুকাদ্বারা গ‍ুীষ্মাধিক্য নহে; ও অল্পায়াসে খাদ্য সামগ্রী জন্মে। আর এই বিদ্যাদ্বারা জানা যায়, যে অন্য দেশ দেশান্তরের পরস্পর উপকারিতা আছে, যেহেতুক সকল দেশের দ্রব্য সকল দেশে গিয়া অনেক উপকারী হয়। ভূগোলবিদ্যা এইরূপে মানস প্রফুল্ল করিলে অবশ্য তাহাকে প্রয়োজনার্হ জ্ঞান করা যায়।


 এই ভুগোল তথ্য ইতিহাস সম্মত; ইহার কারণ এই, আমাদের পূর্ব্বপুরুষ কি রূপ ব্যবহার করিয়াছেন, এবং কি রূপে ইংরাজের সুদশা হইয়াছে, এতদ্ভিন্ন মনুষ্য কি রূপে মান ও উচ্চপদ পাইয়াছে, আর কি প্রকারে মনুষ্যের অপমান ও সর্ব্বনাশ হইয়াছে, আর কোন্ দেশীয় লোক জ্ঞান ও শিষ্টতার দ্বারা অন্যের উপর কর্তৃত্ব করিলে দুষ্ক্রিয়া এবং অহঙ্কারে পূর্ণ হইয়া পরাজিত হইয়া ক্রমে ২, ক্ষীণ হইয়াছে; এই সকল আমরা তথ্য ইতিহাস করণক অবগত হইয়া উচ্চচিত্ত হইয়াছি; অতএব সেতিহাস ভূগোলকে জ্ঞানদায়ক করিয়া মানি।


 পৃথিবী ত্রিকোণ, কিম্বা চতুষ্কোণ, কিম্বা দর্পণাকৃতি, যে প্রকারে এ দেশীয় অনেক লোক জানেন, সেই রূপে ইউরপীয় লোকেরাও অনেক কালাবধি জানিলেন। পৃথিবী নিশ্চলা, এবং, সূর্য্য ভ‍্রমণকারী, এই রূপ জ্ঞান তাঁহাদের