পাতা:ভূতত্ত্ব (প্রথম ভাগ) - গিরিশচন্দ্র বসু.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূতত্ত্ব । صrb) হইলে আমর। ভূপৃষ্ঠে থাকিয়া অভ্যন্তরের রত্তান্ত কিরূপ প্রকারে অবগত হইতে পারিতাম ? কি স্থ আমাদের সে আশঙ্কার বা আগক্ষেপের কারণ নাই । পার্শিক এড়োচাপের বলে, স্তর সকলের সমতলতা পরিবর্তিত হইয়া কোন স্তর ঢাল, কোন স্তর খাড়া কোন স্তর কুঞ্চিত, এবং কোন স্তর একবারে উল্ট হইয়া যায়। মনে কর সাগরগর্ভের একস্থলে ১০,০০০ দশ সহস্ৰ ফিট স্তরিত শিলা উপযুপিরি সংস্থান হইয়াছে, এবং সাগর হইতে মস্তকোত্তলন করিবার সময় পাশের এড়োচাপে তাহারা খাড়াভাবে দাড়াইয়া উঠিয়া ভূমিতে পরিণত হইল। সেই ১০,০০০ ফিট মধ্যে শত শত স্তর থাকিতে পারে । আমরা ভূপৃষ্ঠে থাকিয়া অনায়াসে ১০,০০০ ফিট নিক্ষে স্থিত শিলার পয়িচয় পাইলাম। এই পাশ্বিক চাপ দ্বারা আমরা পূর্বোল্লিখিত সমকুঞ্চিত ও বিকুঞ্চিভ স্তর প্রাপ্ত হই এবং তাহাদের নগ্ৰীকরণ দ্বারা আমরা ভুবাসের পৃষ্ঠে থাকিয়া বহুদূরবর্তী আভ্যস্তরীণ শিলার ইতিহাস অবগত হই।