পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* গুণমতী চটে বলল, “তোর মুখ বড় মন্দ রাণী। সোয়ামি লিতে চায় না, তুই কি করে জানিবি সোহাগ কেমন ধারা হয়।” বন্ধুর বিরাগে খতমত খেয়ে রাণী বলল, “মারলে নাকি লোহাগ হয়।” গুণমতী মূচকে হাসল।-“মারলে ? মারবে কেনে লো বোকা ছুড়ি। গালটা টিপে দিয়েছে এমনি করে।” গুণমতীর গাল টিপুনিতে বড় ব্যথা লাগল রাণীর, টনটনে ব্যথা । গুণDBDu DD D DB DBDK LBB DBD BBDBS GB BDE D DBB সে থাকতে পারল না, “অত কান্না হচ্ছিল কেনে শুনি তবে ?” ‘ওমা ! সোয়ামির সোহাগে কান্না এসঘোনি ?” নিতাই সাহার বাসনের দোকানের সামনে ছোট রোয়কটির এক পাশে কুমড়োটি নামিয়ে গোবধান বাস আর ছেলের প্রতীক্ষায় বসে থাকে। গুণমতী সন্ধ্যা-প্ৰদীপ জ্বালালেই নানু তার মুড়ি আর গুড় নিয়ে আসবে। কি ভয়ানক খিদে তার পেয়েছে জেনে নানুকে পাঠাতে এক মুহূত দেরি করবে না গুণমতী । চারিদিকে অন্ধকার হয়ে আসে। কদিন আগে পূর্ণিমা গেছে, চাঁদ আজ উঠবে একটু দেরিতে। দোকানগুলিতে একে একে আলো জ্বলে ওঠে, -লষ্ঠান, প্ৰদীপ আর কুপি । নিতাই সাহা আনমনেই শুধোয়, ‘চোদ পয়সায় দিবি ? আধখানা ত কেটেই লিয়েছিস।” গোবধান সংক্ষেপে বলে, “না।” বাস সম্বন্ধে সকলের মনে একটু হতাশা দেখা দিয়েছে। এখন বাস এলেও বেশিক্ষণ থামবে না, আরোহীরা ঘুরে ফিরে দরদপ্তর করে সদরের চেয়ে সস্তায় কিছু কিনতে সময় পাবে না । তারা খিদে আর চায়ের তৃষ্ণায় কাতর হয়ে থাকবে, চা আর খাবার খাওয়া ছাড়া কোনো দিকে নজর দেবার অবকাশ কি তারা পাবে! গোবধানের রাগ Sea