পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• তকাতে চাকা-বসান কুয়োর বারের বিচ্ছিন্নতায় এবং আগাগোড়া · টিনের হওয়ার তুচ্ছতায় প্রায় চােখেই পড়ে না। বারান্দার একাধারে সাধারণ দুটি বেতের চেয়ারে একটি পুরুষ ও স্ত্রীলোক রোদে বসেছিল। পুরুষটি মাঝবয়সী, মুন্থ সবল উন্নত চেহারা, যুটী চিবুক কামানো দাড়িতে কড়া দেখায়। তার স্ত্রী হবার মানানসই বয়স মেয়েটর, যদিও সে ক্ষীণাঙ্গী। কনকনে ঠাণ্ড বাতাসে দুজনেরি ঠোঁট ফেটেছে, মেয়েটির পাতলা ঠোঁটের দুটি ফাটলে রক্ত জমে আছে দুইরিত্তি। উদ্বিগ্ন প্ৰত্যাশায় দুজনকেই একটু উতলা মনে হচ্ছে। পথের দিকে তাকাবার ভঙ্গিতে এবং বড় রাস্তায় গাড়ির আওয়াজ হলে দুজনের নড়েচড়ে বসবার রকমে প্ৰত্যাশার স্বরূপটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ‘সময় চলে গেছে । আজ আর আসবে না ।” ঠোঁট বঁচিয়ে প্ৰমীলার কথা বলার চেষ্টা দেখে পরাশর নিজেও ঠোঁট বাঁচিয়েই একটু হাসল। “গাড়ি আজকাল তিন চার ঘণ্টাও লেট করছে। তবে না-ও আসতে পারে, চিঠি লেখার পর হয়তো মত বদলেছে। ধাপ্লাও হতে পারে।” sgBD DDD DDDSS SLBDBDBBD BB D EL BB DBBDB BDS ‘কেন ? কে জানে কেন ! এতকাল পরে হঠাৎ দেখা করতেই বা আসবে কেন ? এমন খাপছাড়া কাজ কেউ করে বলে তো শুনি নি।” তিনবার কথা বলতে গিয়ে প্ৰমীলা চেপে গেল। তারপর আচমকা বলে ফেলল, “আমাকে হয়তো একবার দেখতে চায় ।” “তোমাকে ? পাঁচ ছ বছর চুপ করে থেকে হঠাৎ স্ত্রীর জন্য ভূপতির মাথাব্যথা হবে কেন ?” “মনস্তত্ত্ববিদ ’ বলে প্ৰমীলা হাসল এবং 'উঃ' শব্দ করে উঠে দাঁড়াল । পরাশরের পিছনে দাড়িয়ে তার কঁধে হাতের ভর দিয়ে মাথায় গাল রেখে মৃদুস্বরে বলল, “মন বুঝেও মান রেখে কথা কইতে তুমি আর শিখলে না। আমি জানি তুমি কী ভাৰছ-টাকা বাগাবার চেষ্টায় আসছে।” ዓ&)