পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় পরিচ্ছেদ।
৫৭

উপযুক্ত পাত্র। তুমি ঐ রূপ দড়ী সংগ্রহ করিয়া রাখিবে, এবং আমি বাটতে যাইবা মাত্র আমার হস্তে দিবে; দেখিও, যেন বিলম্ব হয় না। এই বলিয়া,. রজ্জুক্রয়ের নিমিত্ত একটি টাকা দিয়া, তিনি তাহাকে বিদায় করিতেছেন, এমন সময়ে স্বর্ণকার, বণিক ও রাজপুরুষ তাঁহার সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। যথাকালে হার না পাওয়াতে, চিরঞ্জীব স্বর্ণকারের উপর অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া ছিলেন; এক্ষণে তাঁহাকে দেখিতে পাইয়া, ভৎর্সনা করিয়া কহিতে লাগিলেন, তোমার বাক্যনিষ্ঠা দর্শনে আজ আমি বড় সন্তুষ্ট হইয়াছি; তোমায় বারংবার বলিয়া দিলাম, এই সময় মধ্যে আমার নিকটে হার লইয়া যাইবে; না তুমি গেলে, না হার পাঠাইলে, কিছুই করিলে না; এজন্য আজ আমি বড় অপ্রস্তুত হইয়াছি; তোমার কথায় যে বিশ্বাস করে, তাহার ভদ্রস্থতা নাই। তুমি অতি অন্যায় করিয়াছ। এ পর্যন্ত তুমি না যাওয়াতে, আমি হারের জন্য তোমার ব্তী যাইতেছিলাম।

 বসুপ্রিয়, হেমকূটবাসী চিরঞ্জীবকে জয়স্থলবাসী চিরঞ্জীব জ্ঞান করিয়া, কিঞ্চিৎ কাল পূর্ব্বে তাঁহার হস্তে হার দিয়াছিলেন। সুতরাং, প্রকৃত ব্যক্তিকে হার দিয়াছেন বলিয়া, তাঁহার সংস্কার ছিল। এজন্য, তিনি কহিলেন, মহাশয়! এখন পরিহাস রাখুন; আপনকার হারের হিসাব প্রস্তুত করিয়া আনিয়াছি, দৃষ্টি করুন। এই বলিয়া, সেই হিসাবের ফর্দ্দ তাহার হস্তে দিয়া, বসুপ্রিয় কহিলেন, আপনকার নিকট আমার পাওয়ানা পাঁচ শত পঞ্চাশ টাকা। আমি এই বণিকের পাঁচ শত টাকা ধারি।