পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ।
৫৯

আমি কোথায় সে জন্যে তোমায় ভৎর্সনা করিব, মনে করিয়াছি; না হইয়া তুমি, কলহপ্রিয়া কামিনতর ন্যায়, অগ্রেই তর্জ্জন গর্জ্জন আরম্ভ করিলে। .

 এই সময়ে, বণিক বসুপ্রিয়কে কহিলেন, সময় অতীত হইয়া যাইতেছে, আর আমি কোনও মতে বিলম্ব করিতে পারি না। তুখন বসুপ্রিয় চিরজীবকে কহিলেন, মহাশয়! শুনিলেন ত, উনি আর বিলম্ব করিতে পারেন না। চিরঞ্জীব কহিলেন, হার লইয়া আমার স্ত্রীর নিকটে গেলেই টাকা পাইবে। শুনিয়া, সাতিশয় বিরক্ত হইয়া, বসুপ্রিয় কহিলেন, মহাশয়। আপনি কেমন কথা বলিতেছেন; কিঞ্চিৎ পূর্ব্বে আমি আপনকার হস্তে হার দিয়াছি; আমার নিকটে আর কেমন করিয়া হার থাকিবেক। হয়, হার পাঠাইয়া দেন, নয় পত্র লিখিয়া দেন। এই কথা শুনিয়া, কিঞ্চিৎ কুপিত হইয়া, চিরঞ্জীব কহিলেন, তোমার কৌতুক আর ভাল লাগিতেছে না; হার কেমন হইয়াছে, দেখাও।

 উভয়ের এইরূপ বিবাদ দর্শনে ও বাদানুবাদ শ্রবণে, যার পর নাই বিরক্ত হইয়া, বণিক চিরঞ্জীবকে বলিলেন, আপনাদের বাকচাতুরী আর আমার সহ্য হইতেছে না; আপনি টাকা দিবেন কি না, স্পষ্ট বলুন; যদি না দেন, আমি ইঁহাকে রাজপুরুষের হস্তে সমর্পণ করি। চিরঞ্জীব কহিলেন, আপনকার সঙ্গে আমার সম্পর্ক কি, যে আপনি এত রূঢ় ভাবে আমার সহিত আলাপ করিতেছেন। তখন বসুপ্রিয় কহিলেন, আপনি