পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“বিস্তানিধি” মহাশয়েয়ঞ্জগোজামিল”। '3Y দেখাইয়াছেন যে, ভট্টনারায়ণাদি সহ আগত সাবর্ণ গোত্রীয় বেদগৰ্ভ হইতেই তদুবংশে ৭ম পুৰুষ ১ম ভট্ট ভবদেব আবিভূতি হইয়াছিলেন। ভুবনেশ্বর-প্রশস্তিকার কিন্তু সে কথা জানিতেন না, তৎপরবত্তী ঘটকঠাকুরীগণ তাহা বিশেষ জানিলেন। কিরূপে ? বাল-বলভী-ভুজঙ্গ ভট্ট ভবদেব যদি বেদগর্ভের সন্তান হইতেন তবে তঁহার প্ৰিয়সুহৃৎ প্ৰশস্তিতে সে কথার উল্লেখ করিতে অবশ্য ভুলিতেন না। ঘটক মহাশয় লিখিছেন ১ম ভট্ট ভবদেব ধৰ্ম্মপালের অমাত্য ছিলেন । ধৰ্ম্মপালের রাজ্যকাল ৯ম শতাব্দীর মধ্যভাগে ( ৮১৫-৮৬৫, গৌড়রাজমালা ) গড়পড়তায় প্রত্যেকের ২৫ বৎসর হিসাবে ৮ পুরুষে ২০০ বৎসর লাগে। অতএব ৮১১৫ হইতে ২০০ বাদ দিলে ৬১৫ খৃঃঅব্দ বেদগর্ভের আগমনকাল ধরিতে হয় । কিন্তু তিনি নিজেই তাহার “সম্বন্ধ নির্ণয়ে”র ২৫৭ পৃষ্ঠায় লিখিতেছেন যে “অনেকেই জানেন যে পালবংশীয়ের গৌড়রাজ্য সার্বভৌম আদিশূরের অনেক পূর্বে রাজত্ব করেন।” অতএব বিদ্যানিধি মহাশয়ের উদ্ধত ংশাবলী বিশ্বাসযোগ্য হইতে পারে না এবং “পঞ্চ মহৰ্ষির” আগমন কালের সহিত উহার সামঞ্জস্য ও হইতে পারে না । তাহা হইলে ভট্ট নারায়ণাদির আসিবার কালের বহু পূর্বে বেদগৰ্ভ বঙ্গে আসিয়াছিলেন. বলিতে হয় । বিদ্যানিধি মহাশয় নিজেই ক্রোড়পত্রের ৬১ পৃষ্ঠায় ঘলিতেছেন যে, “বারেন্দ্ৰ কুলগ্রন্থে কাশ্যপ গোত্রীয় সুসেনের অধস্তন দশম পুরুষ স্বর্ণরেখা ও ভবদেব ভট্টকে লইয়া যথাক্রমে বরেন্দ্র ও রাঢ়ী সংজ্ঞা বিভাগ হইয়াছে। বস্তুতঃ কাশ্যপ গোত্রীয় ভবদেব রাঢ়দেশে আসিয়া রাঢ়ী হইবার কথা অসম্ভব নহে” । কাশ্যপ গোত্রীয় ভবদেব ও সাবর্ণ গোত্রীয় ভবদেব যে পৃথক তাহা সহজেই বোধ হইতেছে, কিন্তু পূর্বোক্ত ভবদেবীই রাঢ়ী ও শেষোক্ত ভবদেব রাঢ়ী নহেন তাহা বিস্কানিধি মহাশয় বলেন না । সম্বন্ধনির্ণয়ের মূল পুস্তকে এ সম্বন্ধে কোন কথা নাই। নগেন্দ্র বাবুর বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস প্রকাশের পর, জয়ন্ত