२१४ ভ্রাস্তি-বিজয় । भङ বৎসর পূর্বে ঘোর অত্যাচারী ধুনীতি পরায়ণ মঙ্গীপালকে প্ৰজাপুঞ্জের নায়ক কৈবৰ্ত্ত রাজা দিব্য সন্মুখযুদ্ধে নিহত করিয়া গৌড়ের সিংহাসন অধিকার করিয়াছিলেন। পরে যথাক্রমে পুত্র রুদোক এবং ভ্রাতুষ্পপুত্র ভীম। পুত্ৰ নির্বিশেষে প্ৰজা পালন করিয়া শান্তির স্রোত প্ৰবাহিত করিয়া--" ছিলেন। রাজা ভীমের নিকট হইতে সিংহাসন পুনরাধিকার করিতে। ” রামপালকে ২য় কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের আয়োজন করিতে হইয়াছিল, আৰ্য্যা- ? বৰ্ত্তের সমূহ রাজগণকে লইয়া রাজা ভীমের প্রতিযোগীতায় দণ্ডায়মান হইতে হইয়াছিল। সন্ধ্যাকর নন্দী রামচরিতে সত্যের অনুরোধে ভীমের চিত্ৰ উজ্জলবৰ্ণে অঙ্কিত করিয়াছেন। “জগৎ ভীমকে নৃপতিরূপে প্ৰাপ্ত হইয়া অতিশয় সম্পাদযুক্ত হইয়াছিল ; সজ্জনগণ ভীম হইতে যথোচিত দান, কল্যাণ ও ভূমি লাভ করিতেন।” ২২৪ “যে ভীম। এই সমস্ত জগৎ পরের জন্য উৎসর্গ করিয়াছিলেন, যিনি কল্পবুক্ষের ন্যায় প্ৰকৃতিবিশিষ্ট ছিলেন, র্যাহার সেবক ও অবিরল যাচকগণ অশ্বলিত পদে আরোহণ করিয়া অবস্থিত হইতেন।” ২॥২৫ রাজা ভীম শিবগৌরী ভক্ত ছিলেন । “স ভবানী সমূপেতে ভুজঙ্গ বিভূষিতঃ স্বয়ং দেবঃ । দ্বিজরাজ কেতুরাসীন্মুক্তাপুণ্যস্ত যন্তান্তঃ” ৷৷ ২২৬ টীকা।” “ব্যস্ত ভীমস্ত ত্যক্তম। অপুণ্যমধৰ্ম্মৎ যেন, দ্বিজরাজ কেতুশ্চেন্দ্ৰশেখরঃ গৌরী সহিতঃ সর্পালঙ্কতঃ ” অনুবাদ । সেই রাজা ভীম সর্বপ্রকার অধৰ্ম্ম হইতে মুক্ত ছিলেন, এবং তঁহার হৃদয়ে সর্পরাজ বিভূষিত চন্দ্ৰশেখর দেবদেব মহেশ্বর উমার ; সহিত সৰ্ব্বদা বিরাজ করিতেন । এমন পরম ভগবৎ বর্ণাশ্ৰমধৰ্ম্মরক্ষী প্ৰবল প্রতাপান্বিত একচ্ছত্রী । রাজাধিরাজ এবং তঁহার স্বজাতিবর্গ পুরোহিত বিহীন ছিলেন। কি সুন্দর উgম যুক্তি ৷
