পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভ্রান্তি-বিজয় । * •سلام জন্মতঃ কৰ্ম্মতঃ উৎকৃষ্ট বলিয়া তাহাদের জলচার বর্তমান আছে এবং বিনা রাঢ়ীতেই তাহদের চলন আছে। ইহা ভারতের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের প্রখ্যাতনামা পণ্ডিতগণের ভাষাপত্রে স্বীকৃত হইয়াছে; অতএব মিশ্র ক্ষত্ৰিয় মাহিষ্যজাতির পৃথক পুরোহিত থাকা হীনত্বের লক্ষণ নহে, বরং গৌরবের বিষয় বলিতে হইবে। , ན་ বৰ্ত্তমান বঙ্গীয় হিন্দুসমাজের বিচারবুদ্ধি একেবারে বিলুপ্ত হইয়াছে। ইহারা অজ্ঞাত কুলশীল উড়ে ব্ৰাহ্মণ, কামরূপে ব্ৰাহ্মণ, পশ্চিমা ব্ৰাহ্মণ, নাম ধারীর প্রস্তুত অন্ন অবিকারে গলাধঃকরণ করিতেছেন। সময়ে সময়ে এই সকল ব্ৰাহ্মণের মধ্য হইতে চৰ্ম্মকার রাজক কাওরা পৰ্যন্ত বাহির হইতে দেখা গিয়াছে, কিন্তু মাহিষ্যষাজী ভ্ৰাহ্মণের জলপান । করিতে কুষ্ঠিত হইতেছেন। আবার উড়িষ্যার, কামরূপের বা পশ্চিমের গ ব্ৰাহ্মণ শৌণ্ডিকের ব্ৰাহ্মণ, কি চণ্ডালের ব্রাহ্মণ, তাহার বিচার নাই, ব্ৰাহ্মণ হইলেই হটল । এই সমস্ত গডডব্লিকার স্রোভে সত্যের মৰ্য্যাদা খরবেগে ভাসিয়া যাইতেছে । ইহাকেই বলে সমাজের বজ-অ্যাটন। কিন্তু ফক্ষা গিরা । এই সমাজের সূক্ষ্ম বিচারই বা কত ? মাহিষ্যজাতির জলপান করিলে জাতি যায় না, কিন্তু সে যাহার পাদোদক পান করিয়া, যাহার পরিত্যক্ত প্ৰসাদ ভক্ষণ করিয়া ধন্য, চরিতার্থ, কৃতকৃতাৰ্থ ও জন্ম সফল জ্ঞান করে-তােহাৱা জলপান করিলে জাতি যায়, এইরূপ আসার কথা । স্বার্থীন্ধ বঙ্গীয় সমাজেই শোভা পায় । যাহার মুখ হইতে উচ্চারিত বৈদিক মন্ত্র সংস্কৃত শান্তিবারি দ্বারা হালিক কৈবৰ্ত্ত মৃত্যুশৌচ হইতে শুদ্ধি লাভ করিলে রাঢ়ীয়-বারেন্দ্ৰ ব্ৰাহ্মণাদি বর্ণকে আচমণীয় ও পানীয় জল। প্ৰদান করিতে সমর্থ হয়, সেই রাঢ়ীয়-বারেন্দ্ৰ ব্ৰাহ্মণগণ র্তাহার জল গ্রহণ করিবেন না ! বাহবা বুদ্ধি!! ৰালিহারী যুক্তি !!! : যাজ্য জাতিকে আদর করিয়া তদ্‌যাজককে অনাদর করা কনোজ । জন্মদায়ের স্বর্থপরতায় একটি গুঢ় মতলব ছিল। স্ট্রাঙ্গুরা মনে করিয়া