ব্ৰাহ্মণের গোত্র প্রবর। " ": ' '৮১ আৰ্য ঋষিগণ হােমধেনু পালন করিতেন। তঁহাদের সন্তান ও শিষ্যগণ এই হোমধেনু রক্ষণাবেক্ষণ করিতেন। ব্যাভ্রাভলুকাদি হিংস্র৷ জন্তু হইতে নিজ নিজ গোধেনু সকলের ত্ৰাণ করিবার জন্য আশ্রমের নিকটেই গোচরণ ক্ষেত্ৰ থাকিত। এই গোচারণ ক্ষেত্রের নামই গোত্র ছিল অর্থাৎ যাহা দ্বারা গরু ব্ৰাণ পায় । কালক্রমে একস্থানে বহু ঋষির গোচরণ স্থান থাকিতে । প্ৰত্যেক ঋষির নামানুসারে গোচরণ ক্ষেত্রের নামকরণ হইত। পরবত্তী কালে ঐ সকল ঋষি হইতে যত সন্তান বা শিষ্য জন্মিল, তাহারা নিজ নিজ গোত্ৰকারক পূৰ্ব্ব ঋষির নামে পরিচিত হইতে লাগিলেন। এই গোত্র পরিচয় দ্বারা কোন ঋষির বংশজাত বা কোন ঋষির শিষ্যসম্প্রদায়ভুক্ত তাহ অনাক্সাসে অবগত হইতে পারা ষাইত। ক্ষত্ৰিয় বৈশ্য ও শূদ্ৰগণ নিজ নিজ গুরু বা পুরোহিতের গোত্রানুসারে পরিচিত হইয়া থাকেন । বিশ্বামিত্ৰাদি ঋষিগণ ব্ৰাহ্মণত্ব লাভ করিয়া গোত্ৰ প্ৰবৰ্ত্তন করেন । তজ্জন্য ক্ষত্ৰিয়াকুলজাত ঋষিকেও গোত্রসংস্থাপক দেখা যায়। আশ্বিলায়ন-শ্রেণীত সুত্রানুসারে পুরোহিতের গোত্ৰই ক্ষত্রিয়ের গোত্ৰ স্থির হইয়াছে যথা-পুরোহিতপ্রবরোরাজ্ঞাং । ক্ষত্ৰিয়,বৈশ্য-শূদ্রাণামৃ গোত্ৰঞ্চ প্রবরাদিকং। তথ্যান্য বৰ্ণসঙ্করাণাং যেষাং বিপ্ৰাশ্চ যাজকাঃ ॥* 擎、 অগ্নিপুরাণ । এই জন্য অনুলোম-বিবাহ-সঞ্জাত বৰ্ণসঙ্কর ও শূদ্রগণের সর্বগাত্র বিবাহু নিষিদ্ধ নহে। কিন্তু ব্ৰাহ্মণগণের সমান গোত্র ও সমান প্রবার সঞ্জাতি বংশে বিবাহ নিষেধ ; যথা :- ‘ইতি আচার মাধবীয় মদন পারিজাতিয়োরাপিস্তম্ব: । সমানগোত্ৰপ্রবরাং সমুদ্বাহ্যোপগম্য চ। অস্তামুৎপাদ্য চাণ্ডালং ব্ৰাহ্মণ্যাদেব হীয়তে ॥ সমান প্রবরত্বং সংজ্ঞা সংখ্যয়োরনুনাতিরিক্তত্বেন, ভিন্নগোত্রত্বেহপি সম্মানপ্রবীরত্বম। যথা বাৎস্যসাবৰ্ণিগোত্ৰয়োরেীর্বাচ্যবনভার্গবজামদগ্ন্যিাপ্ন বৎ
