পাতা:মঙ্গলচণ্ডী - দ্বিজ মাধব .pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डूभिक দেবীপ্রসঙ্গ চণ্ডীমঙ্গলের দেবীর প্রকৃত পরিচয়সম্বন্ধে নানা পণ্ডিতের নানা মত। অনেকে মনে করেন, চণ্ডীমঙ্গলে পৌরাণিক চণ্ডীরই লৌকিক লীলা বাণিত হইয়াছে। পৌরাণিক চণ্ডী অসুর বধ করিয়া স্বর্গে শান্তি স্থাপন করিয়াছিলেন, ইহা দেবীর স্বৰ্গ-লীলা। মার্কণ্ডেয়-পুরাণের এক অংশে (৮১-৯৩)। এই কাহিনী পাওয়া যায়। মৰ্ত্তবাসী দেবীর কৃপাপ্রার্থী হইলে তিনি তাঁহাদিগকেও বিপদ হইতে রক্ষা করিয়া সুখ-সম্পদ দান করেন, এই আশার বাণী শুনাইবার জন্য বাঙালী কবি দেবীর এই মৰ্ত্ত্যলীলা রচনা করিয়াছেন, ইহাই প্রচলিত বিশ্বাস। এই মত অনুসারে পৌরাণিক চণ্ডী ও চণ্ডীমঙ্গলের চণ্ডী उालिनं। DD BD DB DBBBDB DDB BBBD DS SDDDD DBBBDS DBDDD ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম একমাত্র পুরাণের ভিত্তি-ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত নহে। তাঁহাদের মতে ইহার অনেক কিছুই পুরাণ-বহিৰ্ভত লৌকিক ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম মাত্র। মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় বাঙালীর লৌকিক ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্মের উপর বৌদ্ধ প্রভাবের কথা প্ৰথম বলেন । এই মতবাদের জের টানিয়া বলা হয়, ‘চণ্ডীমঙ্গলের চওঁী বৌদ্ধ দেবী বজ্র-তারা, বিশালাক্ষী বা পর্ণ শবরীর হিন্দু রূপান্তর মাত্ৰ’ । মঙ্গলচণ্ডীর উৎপত্তি সম্বন্ধে আর একটি মত অধুনা বিশেষ জনপ্রিয় হইয়া উঠিয়াছে। এই মতের সমর্থকগণ বলেন, বাংলার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে যে-সকল কোল- ও দ্রাবিড়-ভাষী আদিবাসী বাস করে, চণ্ডীমঙ্গলের চণ্ডী তাহাঁদেরই ধৰ্ম্ম-জগৎ হইতে গৃহীত। দুঃখের বিষয়, এ-পৰ্য্যন্ত তন্ত্রগুলিতে মঙ্গলচণ্ডীর উৎপত্তি অনুসন্ধান করিবার চেষ্টা করা হয় নাই। বাঙালীর ধৰ্ম্মে-কৰ্ম্মে, বিশেষ করিয়া তাহার মাতৃপূজায়, তান্ত্রিক প্রভাব সুস্পষ্ট। সেজন্য উক্ত তিনটি মতের সহিত আমরা এখানে মঙ্গলচণ্ডীর তান্ত্রিক উৎপত্তির কথাও বিবেচনা করিয়া দেখিব। চণ্ডীমঙ্গলের দেবীর পরিচয় জানিতে হইলে চণ্ডীমঙ্গলগুলিতেই প্ৰথমে তাহা অনুসন্ধান করা আবশ্যক। এই কাব্যগুলি পাঠ করিলে দেবীর যে-মুক্তি