পাতা:মণিপুরের সেনাপতি (শেষ অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সেনাপতি ।
১০৫

অমনি তাহার ভিতর প্রবেশ করিল। তাহার ভিতর ধন-ভাণ্ডার ছিল, উহা লুট হইয়া গেল। দেখিতে দেখিতে রেসিডেনসিতে অগ্নি জ্বলিয়া উঠিল, ও মুহূর্ত্ত মধ্যে উহা ভস্মে পরিণত হইল।

 যে সকল সৈন্য সেই স্থান হইতে পলায়ন করিয়াছিল, তাহারা সকলেই নিরাপদে গমন করিতে পারিল না; প্রায় অনেকেই মণিপুরী সৈন্য কর্তৃক ধৃত হইয়া কারারুদ্ধ হইল। পলায়ন করিতে গিয়া যাহারা কয়েদী অবস্থায় পরিণত হইয়াছিল, তাহারা কিন্তু কেহই কয়েদীর যন্ত্রণা ভোগ করে নাই। পরে টিকেন্দ্রজিৎ সকলকেই অভয় প্রদান-পূর্ব্বক মুক্তি-প্রদান করিয়াছিলেন।

 ইংরাজের এই ভয়ানক দুর্ঘটনার কথা ক্রমে প্রকাশ হইল। কিন্তু প্রধান প্রধান কর্ম্মচারিগণ যে কাল-কবলে নিপতিত হইয়াছেন, তখন তাহা কেহই জানিতে পারিল না। সকলেই জানিল যে, তাহারা বন্দী হইয়াছেন; সকলেই শুনিল যে, ইংরাজ কর্ম্মচারী ও সৈনিকের দ্বারা মণিপুর-কারাগার পরিপূর্ণ হইয়াছে।

 এই সংবাদ ক্রমে সুদূর সিমলা-শৈলে গিয়া উপস্থিত হইল; মহারাণীর প্রতিনিধির কর্ণে গিয়া পৌছিল। কোন উপায় অবলম্বন করা কর্তব্য, গবর্ণর জেনারেল সাহেব তখন তাহাই ভাবিতে লাগিলেন।

________