পাতা:মণিমালিনী.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯა মণিমালিনী । নয়নে আমার প্রতি দৃষ্টি দিয়াছিলে ? হা প্রিয়তম । ছা প্ৰভু ! ছা স্বামিন্‌ !— জয় । (সবিস্ময়ে) স্বামী—বল কি ? মণি । সখি ! শোকে আমার হৃদয় অস্থির হয়েছে। যে কথাটা গোপনে রাখতে চেষ্টা করি, সেইটাই প্রকাশ করে কেলি। তোমার নিকট আমার কিছুই গোপন নাই । তুমি আমার মুখের সুধী, দুঃখে দুঃখী । তোমার নিকট আমি সকল কথা ভেঙ্গে বলি । তুমি শুম্লে এখনি কাবে। জয়া । আমি তো কেঁদেছি, সাক্ষী এই চক্ষের' জল । (চক্ষে অঞ্চল প্রদান । ) মণি । সখি ! বীরভূষণের কথা শুনৃলে জানতে পারবে আমার রোদন অকারণ নয় । জয় । সকলের মুখেই বীরবর বীরভূষণের মুখ্যাতি শুনৃতে পাই । . মণি । সখি ! তিনি সৰ্ব্বগুণে গুণম্বিত, সত্যের অবতার, প্রণয়ের ভাণ্ডায় । জয় । পাছে তুমি শোকে অস্থির ছও বলে আমি তোমাকে ৰীয়ভুষণের কথা জিজ্ঞাসা করি নাই । মণি । সখি ! আমার কিছুই তোমার নিকট গোপন নাই, এ কথাই বা কেন গোপন করি । বলি শুন । আমি বন্দিনী হলে রাজা ইন্দ্রনীল অতি যত্নে আমাকে নিজ অন্তঃপুরে রেখেছিলেন । আমার পিতা প্রথম পরাজয়ের আক্রেণশে অনেক সৈন্ত সামন্ত লয়ে ইজনীলের রাজধানী আক্রমণ কল্যেন । রাজা ইন্দ্রনীল ঘোরতর যুদ্ধ করে যখন দেখলেন রাজ্যরক্ষণর কোন উপায় নাই, তখন আমার পিতার ছন্তে আত্ম সমর্পণ কল্যেন । ছা ভগবৰ ! হা