য়াছে কি না, অথবা এই মিথ্যা মোকর্দ্দমা রুজু করিবার পুলিশ কর্ম্মচারিগণের কোন উদ্দেশ্য বা কোনরূপ স্বার্থ আছে কি না?
অনুসন্ধানের দ্বিতীয় উদ্দেশ্য, তারামণির লোহার সিন্দুকের ভিতর যে একটা স্ত্রীলোকের মৃতদেহ পাওয়া গিয়াছিল, তাহাই বা কাহার মৃতদেহ ও কিরূপেই বা উহা ঐ বাক্সের ভিতর কাহার দ্বারা আনীত হইল? ঐরূপ মৃতদেহ ঐরূপে ঐস্থানে আনয়ন করিবার পুলিশ কর্ম্মচারিগণের কোনরূপ উদ্দেশ্য বা স্বার্থ আছে কি না? বলা বাহুল্য, ক্রমান্বয়ে ১৫ দিবসকাল পুলিশের প্রধান কর্ম্মচারীর দ্বারা এই অনুসন্ধান চলিত হইল, কিন্তু তিনি পুলিশ-কর্ম্মচারিগণের বিপক্ষে এরূপ কিছুই প্রাপ্ত হইলেন না যে, যাহাতে তিনি তাহাদিগকে দণ্ড প্রদান করিতে পারেন। সুতরাং আমরা সকলেই তাঁহার নিকট হইতে অব্যাহতি পাইলাম। কিন্ত তখনও আমাদিগের উপর আদেশ রহিল, “লোহার সিন্দুকের ভিতর যে মৃতদেহ পাওয়া গিয়াছে, সে কাহার মৃতদেহ, অনুসন্ধান করিয়া তাহার রহস্য উদ্ঘাটন কর।”
সমাপ্ত।
জ্যৈষ্ঠ মাসের সংখ্যা,
গুপ্ত-রহস্য।
(অর্থাৎ তারামণির প্রমুখাৎ ভয়ানক গুপ্ত-রহস্য প্রকাশ!)
যন্ত্রস্থ।