পাতা:মদীয় আচার্য্যদেব - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদীয় আচাৰ্য্যদেৰ । জীবনটাকে সম্ভোগ করা সম্ভব হয় । তাহা না হইলে জীবনটা একটা বৃথা ভারমাত্র। ইহাই আমাদের ধারণা, কিন্তু শত শত যুক্তিদ্বারাও ধৰ্ম্ম ও ঈশ্বরকে প্রমাণ করা যায় না। যুক্তিবলে ধৰ্ম্ম ও ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্ভবপর বলিয়া অবধারিত হইতে পারে, কিন্তু ঐখানেই শেষ । সত্যসকলকে প্রত্যক্ষ / উপলব্ধি করিতে হইবে, আর ধৰ্ম্মের প্রত্যক্ষ প্ৰমাণ পাইতে গেলে উহাকে সাক্ষাৎকার করিতে হইবে। ঈশ্বর আছেন, এইটি নিশ্চয় করিয়া বুঝিতে হইলে ঈশ্বরকে অনুভব করিতে হইবে । নিজে প্ৰত্যক্ষ ব্যতীত অন্য কোন উপায়ে আমাদের নিকট ধৰ্ম্মের সত্যতা প্ৰমাণিত হইতে পারে না। ’ বালকের হৃদয়ে এই ধারণা প্ৰবেশ করিল, তঁহার সারা দিন কেবল ঐ ভাবনা-কিসে প্ৰত্যক্ষ দর্শন হইবে। প্ৰতিদিন তিনি কঁাদিয়া বলিতেন, “মা, সত্যই কি তুমি আছ, না, এ সব কবিকল্পনা ? কবিরা ও ভ্রান্ত জনগণই কি এই আনন্দময়ী জননীর কল্পনা করিয়াছেন, অথবা সত্যই কিছু আছে ?” আমরা পূর্বেই বলিয়াছি, আমরা যে অর্থে শিক্ষা শব্দ ব্যবহার করি, তাহা তাহার কিছুই ছিল না ; ইহাতে বরং ভালই হইয়াছিল। অপরের ভাব, অপরের চিন্তা ক্ৰমাগত লইয়া লইয়া তাহার মনের যে স্বাভাবিকত্ব ছিল, মনের যে স্বাস্থ্য ছিল, তাহা নষ্ট হইয়া যায় নাই। তঁহার মনের RA