পাতা:মদীয় আচার্য্যদেব - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भौ अiछांश1ालय । ঠিক বিবাহ নাম দেওয়া যায় না। যখন স্ত্রী একটু বড় হয়, তখনই প্ৰকৃত বিবাহ হইয়া থাকে আর এই সময়ে স্বামীর শ্বশুরালয়ে গিয়া স্ত্রীকে নিজগৃহে লইয়া আসাই প্ৰথা। এ ক্ষেত্রে কিন্তু স্বামী একেবারে ভুলিয়াই গিয়াছিলেন যে, তাহার স্ত্রী আছে। সুদূর পল্লীতে থাকিয়া বালিকাটা শুনিয়াছিলেন যে, উৰ্তাহার স্বামী ধৰ্ম্মোন্মাদ হইয়া গিয়াছেন, এমন কি, অনেকে তঁহাকে পাগল বলিয়াই বিবেচনা করিতেছেন । তিনি স্থির করিলেন, এ কথার সত্যতা জানিতে হইবে।--তাই তিনি বাহির হইয়া তাহার স্বামী যথায় আছেন, পদব্রজে তথায় যাইলেন। অবশেষে যখন তিনি স্বামীর সম্মুখে গিয়া দাড়াইলেন, তখন তিনি তাঁহাকে ত্যাগ করিলেন না। যদিও ভারতে নরনারী যে কেহ ধৰ্ম্মজীবন অবলম্বন করে, তাহারই আর কাহারও সহিত কোন বাধ্যবাধকতা থাকে না, তথাপি ইনি স্ত্রীকে দূর করিয়া না দিয়া তঁহার পদতলে পতিত হইলেন ও বলিলেন, “আমি জানিয়াছি, সকল রমণীই আমার জননী ; তথাপি আমি, এখন তুমি যাহা বলিবে, তাহাই করিতে প্ৰস্তুত আছি।” এই মহিলা বিশুদ্ধস্বভাব ও অতিশয় উচ্চাশয় ছিলেন । তিনি তঁহার স্বামীর মনোভাব সব বুঝিয়া ভঁাহার কাৰ্য্যে সহানুভূতি করিতে সমর্থ ছিলেন। তিনি কালবিলম্ব না V8