পাতা:মদীয় আচার্য্যদেব - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদীয় আচাৰ্য্যদেব । তাহারা কখনই কোন উপকার করিতে পারেন না । মদীয় আচাৰ্য্যদেবের নিকট থাকিয়া আমি বুঝিয়াছি, মানুষ এই দেহেই সিদ্ধাবস্থা লাভ করিতে পারে । তদীয় মুখ হইতে কাহারও প্রতি অভিশাপ বৰ্ষিত হয় নাই, এমন কি, তিনি কাহারও সমালোচনা পৰ্য্যন্ত করিতেন না। তদীয় নয়ন জগতে কিছু মন্দ দেখিবার শক্তি হারাইয়াছিল—তঁহার মনও কোনরূপ কুচিন্তায় অসমর্থ হইয়াছিল। তিনি ভাল ছাড়া আর কিছু দেখিতেন না । সেই মহা পবিত্ৰত, মহা ত্যাগই ধৰ্ম্মলাভের একমাত্র গুহা উপায়। বেদ বলেন “ন ধনেন ন প্রজীয়া ত্যাগেনৈকেনামৃতত্বমানশুঃ ” “-ধন বা পুত্রোৎপাদনের দ্বারা নহে, একমাত্র ত্যাগের দ্বারাই মুক্তিলাভ করা যায়।” খীশুখ্ৰীষ্ট বলিয়াছেন, “তোমার যাহা কিছু আছে, বিক্রয় করিয়া দরিদ্রদিগকে দান কর ও আমার অনুসরণ কর।” সব বড় বড় আচাৰ্য্য ও মহাপুরুষগণও এই কথা বলিয়া গিয়াছেন এবং জীবনে উহা পরিণত করিয়াছেন । এই ত্যাগ ব্যতীত আধ্যাত্মিকতা আসিবার সম্ভাবনা কোথায় ? যেখানেই হউক না, সকল ধৰ্ম্মভাবের পশ্চাতেই ত্যাগ রহিয়াছে আর যতই ত্যাগের ভাব