{ · } পড়িল, পক্ষিরাজ বালিশের উপর একবারে শুয়ে পড়িঙ্গেনসাক্ষাৎ সুমেরু পর্বত—কাহার সাধ্য তাহাকে মাড়ে। পয়দিবস ঘটক উপস্থিত হইলে পক্ষিপ্লাজ প্রাণপণে অপেন শরীরকে নভ করিয়া ভুমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিতে উদ্যত হইলেন কিন্তু স্বীয় ভর সামালুতে না পারাতে একবারে হুমড়িয়া পড়িয় গেলেন। হাং বর পড়িল—বর পড়িলই এই বলিয়া সকলে চিৎকার করিয়া উঠিল । পক্ষিরাজ কিঞ্চিৎ অপ্রস্তুত হইয় স্থির হইয়া বসিলেন এবং অপেন সৌন্দয়f_ প্রকাশার্থ কেঁচার কাপড় দিয়া গোপ ভুরু নাক ও মুখ পুছিতে লাগিলেন। ঘটক বলিল আগামি মাসের পোনেরক্রি উত্তম দিন অতএব ঐ দিবসে একেবারে লগ্নপত্র হইবে— অামার আজ অনেক বরাং আছে এক্ষণে উঠিলাম, আর২ পক্ষির বলিল মহাশয় এর তো হল তামাদের বিষয় ভুলবেন না। ঘটক বলিল আমাকে কিছুই বলিতে হইবে না, এমন চাদের হাট ছাড়িয়া কোথায় পাত্র অন্বেষণ করিব ? ঘটক গমন করিলে পক্ষিরাজ নির্জন স্থানে বসিয়া ভাবিতেছেন-বারাকপুরণীতে আমার হলেন এখন নন্দনবাগানীকে কেমন করে পাই। যেপৰ্যন্ত চক্ষুঃ কর্ণের বিবাদ লা ঘুচিয়। যায় সে পর্যন্ত সাতিশয় অস্থির হইতেছি। হায় অামার চিত্ররেখা নাই, কে তাহাদিগের প্রতিমুৰ্ত্তি লিখিয়া দেখায় ? বারাকপুরে এক্ষণে যাইতে পারি না, নন্দনবাগানে আজ সন্ধ্যার অগ্রে যাইব । -2 * প্রবৃত্তিই মূল আর অাশা বলবৎ হইলে কি না হইতে পারে? পক্ষিরাজের মন ব্যাকুল—কেবল স্থৰ্য অবলোকন করিতেছেন, বেলা কতক্ষণে অবসান হয়ঃ এক২ বার ইচ্ছা হয় রাবণের স্যায় দিবাকরকে অস্ত যাইতে অtঞ্জা দেন। অন্যান্য পক্ষির ধূম বৃষ্টি করিতেছে কিন্তু তিনি অতি নরম ভাবে একই টান মারিতেছেন ও পাছে চক্ষের ভাবে মনের ভাব প্রকাশ হয় এজন্য নয়ন মুদিত করিয়া অাছেল অন্যান্য দিনের ন্যায় প্রাণ ঠাণ্ড গুকরণে কিছুই আদর করিতেছেন না। ক্ষণেকু কাল পর দ্বিজ সকল নানা প্রকার মাদকতায় মত্ত হইয়া ডানা
