( *२ ) একটু শঠত দেখিয়া চটে উঠিয়ছিলাম কিন্তু এক্ষণে বোধ হইল যে এস্থান শঠতা ও অধর্মের সমুদ্র। ইতিমধ্যে এক দিগ থেকে একটা চীৎকার ধ্বনি উঠিয়া আমার কর্ণ গোচর হইল –চক্ষু, তুলিয়া দেখিলাম—একটা দামড়াপেট আদিমরা ঘে ও গরু গ1গ করিতেই পলাইং ডাক ছাড়িতেছে ও এক “জন তিলকধারী কৃষ্ণবর্ণ পুরুষ তাহার লেজ ধৰিয়া টানিতেং বলিতেছে-ওরে তুই গেলে আমি কাকে নিয়ে থাক ? তবে আমি ও প্রস্থান করি আর মিছে ছেড়া চলে খোপা কেন? তোর জোরেতেই আমার পেট চলে—তুইতো আমার কামধৈন্থ। অন্য এক দগথেকে শ্বেত বসন ও শান্ত বদনা একটী কন্যা স্বর্গথেকে একই বার নামতে ছন ও বল তছেন–জ্ঞান ! আমাকে সাহায্য কর এখানে স্থির হইয়া থাকিতে পারিন । আমি যড় হাত করিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম--পিতা এসকল কি ? জ্ঞান উত্তর করিলেন-ষে গরুটা পলাইং ডাক ছাড়ছে, ইহার নাম জাতি, এ অনেক চোট খাইতেছে আর টিকৃতে পারে না । তাহার লেজ ধরে যিনি টানছেন উহার নাম হিন্দুগিরি। জাতি গেলে তার গুমর যাইবে এজন্য টানাটানি করিতেছেন। আর ঐ যে কন্যা একই বার নামছেন ও উঠছেন উহার নাম ধৰ্ম্ম । বঙ্গদেশে এত অধৰ্ম্ম ষে তিনি অব তিষ্ঠিত্ব থাকিতে পারেন না, এই কারণে আমাকে আমুক্ল করিতে বল্লিতেছেন। আমি এই সকল অন্তত ব্যাপার একাগ্র চিত্তে দেখিতে লাগিলাম। জাতি এমনি দৌড়িতেছে যে হাজার টানটানিতেও থামে না, হিন্দগিরি ও লেজ কসে ধরিয়া পেছনেই বুলিয়া যাইতেছে। এইরূপে টনাটানি হেঁচড়া হেঁচড়িতে জাতির লেজ পটাৰ করিয়া ছিড়ে গেল ও হিন্দুগিরি বেগে চিৎপটাং হইয়া ঠিক রে পড়িলেন। লেজের স্বলুরি চোটে জাতির গা গ্ৰী হাম্ম ইন্ম শৰুে পৃথিবী ফাটিয়া যাইতে লাগিল। এক্ট গোল আমার নিদ্রা ভঙ্গ হওয়াতে দেখিলাম নৰ্ম্মদ তীরস্ত সেই বৃক্ষের উলায় পড়িয়া রহিয়াছি, আমার নিকটে কএক জন বৈরাগী বসিয়া , খঞ্জনী বাজাইয়া গান করিতেছে। 泰
