( to ) রেজাই সাল রূমাল দেখিতেই উড়াইয়া দিয়kছলেন। দেকানি পসারিরা তাহাকে দূর থেকে দেখিলে ভয়ে কাপ বন্দ করিত। কিছু কাল এইরূপে কাটাইয় তিনি গুরুমহাশয় গিরি কর্শ্বে প্রবৃত্ত হইলেন। ছেলেদিগের লেখাপড় যত হউক বা না হউক, তাহাদিগের নিকট হইতে পরব পার্বণে পয়সা ও দ্রব্যাদি লইতে ক্রটি করেন নাই কিন্তু পড়াইবার সময় হইলে যুক্তাক্ষর শব্দের অর্থ অথবা কসামাজার্তে ভারি বিপত্তি হষ্টত । পরে আপনার বিদ্য ব্রহ্মাণ্ড প্রকাশ হইলে পাঠশাল ভাঙ্গিয় গেলেও কিছু কাল বেত হাতে করিয়া ঢুলিতেই মশা তাড়াইয় ছিলেন। পিতা পিতামহের ন্যায় স্থানেই বিবাহ করিয়া ধন সঞ্চয় করিবেন এই মানসে পাণি গ্রহণ করিতেও কস্থর করেন নাই, কিন্তু সে পাণি গ্রহণে বাস্তবিক পাণি গ্রহণই হয় নাই। যেখানে যাইতেন সেখানেই তাহার রাত্রিবাস লাভ করণ স্বভাব দেখিয়া প্রায় সকলে অৰ্দ্ধচন্দ্ৰ দিয়া বিদায় করিত। তাহার বাটীর নিকটে ভজহরি ঘোষ নামে একজন প্রকৃত মুখী ছিলেন। তিনি সৰ্ব্বদাই তপ জপ সুন্ধ্য আহুিক পুরশ্চারণ উপবাস ব্রত নিয়মে নিযুক্ত থাকিতেন,ঞ্জ কুলশীলের কথা লইয়া নিকটস্থ লোক সকলকে উপদেশ দিতেন। কে কনিষ্ঠ কে ছভায়, কে মধ্যাংশ, কে মধ্যাংস দ্বিতীয়পে, কাহার পান দোষ, কাহার পশ্চাৎ দোষ, কাহার দেবীদাস দোষ, কাহার গঙ্গাদাসী দোষ, কে উলুই, কে সহজ, কে কোমল, কাহার আদিরসের ঘর, কে গোষ্ঠীপতি, এই সকল কথা লইয়া বিতণ্ড করিয়ােজন। ভজহরির সর্বাঙ্গে ছাপ্প, গায়ে নামাবলী, হাতে হরিনামের মালা, দৃষ্টি মাত্রে বোধ হইত তিনি বড় শুদ্ধটি লোক কিন্তু গ্রামের যাবতীয় গলতি কৰ্ম্মে সংগোপনে মুলীভূত থাকিতেন। দালানে আহ্লিক করিতে বসিলে নিকটে নানা প্রাকায় মৃন্দ লোক আসিভ। আক্লিক করিবার সময়ে অপর লোক থাকিলে ভঙ্গিক্রমে পরামর্শ দিতেন নতুবা তাহাদিগের কানেইগুরুমন্ত্র প্রদান করিতেন। যদি কেহ ধরা পড়িত অর্থ কোন
