পাতা:মধুমতী - পূর্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

মধুমতী। বেহারা থাকিবার কথা ছিল, তাহারা কোথায় বলিতে পার? ” কুটীরু বাসী কহিল, “ তাহারা রাত দশটা পর্যন্ত এই খানে ছিল, কিন্তু ঝড় আসাতে চলিয়া গিয়াছে”। যুবক নিরাশ হইয়া প্রত্যাবর্তন করিলেন। রজনী দ্বিতীয় প্রহর, অনন্ত নীলাকাশে পূর্ণচন্দ্র হাসিতেছে ; এবং বি শাল তরঙ্গিণী মধুমতীহৃদয়ে ঝিকমিক করিয়া তৎপ্রতিবিম্ব নাচিতেছে। সুশীতল নৈদাঘ বায়ু মন্দ ২ বহিতেছিল। পৃথিবী স্থির, সুশীতল ; পশু পক্ষী, গ্রামবাসী, সকলেই নীরব ; কেবল কোথাও মনুষ্যপদশব্দে উত্তেজিত কুরে রব, আর কখনই অতিদূরনিঃসৃত গ্রাম্য প্রহরী দিগের চীৎকারধ্বনি শুনা যাইতেছিল। যুবক স্বভাবের সোন্দর্য অবলােকনে অন্য মন হইয়া, মধুমতীর তটে পদ 'চারণ করিতে ছিলেন ;-হঠাৎ চমৎকৃত হইয়া দাড়াইলেন। দেখিলেন তঁাহার সম্মুখে জলের অনতিদূরে একটি শ্বেত পদার্থ । পদার্থটি মৃত মনুষ্য দেহ। তাহার অনতিদূরে। দুই একখানি ভগ্ন কাষ্ঠ ও একখানি নৌকার হাল। বুঝিলেন, যে নিশারম্ভে যে প্রবল ঝটিকা হইয়াছিল, তৎ কর্তৃক কোন নৌকা জলমগ্ন হইয়াছিল এবং এই হতভাগ্য ব্যক্তি তাহার একজন আরােহী। যুবক রাজধানী সন্নিকটবর্ত্তী-লা গ্রামের একজন