এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মধুমল্লী
দুই হস্তে ফ্যানীর গলা জড়াইয়া ধরিয়া তাহার মুখের পানে চাহিয়া রহিল। ফ্যানী দেখিল, তাহার চোখে মুখে হাসি উছলিয়া পড়িতেছে। সে গভীর কৃতজ্ঞতার সহিত তাহার করমর্দ্দন করিয়া বলিল, “মিস্ ফষ্টার, তোমায় কি বলে ধন্যবাদ দেবো আমি বুঝতে পার ছি না। তোমার কাছে ভাই চিরঋণী রইলাম।”
অ্যালিস সে কথায় কর্ণপাত না করিয়া তাহার বাহু আকর্ষণ করিয়া কহিল,—“চলো আমরা পাখীদের খাবার খাওয়া দেখিগে।”
মৃদুনম্বরে ফ্যানী বাধা দিল।—“না মিস্ ফষ্টার, আজ আমায় ক্ষমা করো, আজ সকল কার্য্যের পূর্ব্বে প্রভু, পিতা ও তোমার জন্য ঈশ্বরের নিকট একবার ভাল ক’রে প্রার্থনা করিবো।”
এই বলিয়া সে অ্যালিসের করমর্দ্দন করিয়া নিজের ঘরের দিকে চলিয়া গেল। অ্যালিস ঈষৎ ক্ষুন্নভাবে দাদা মহাশয়ের নিকট ফিরিয়া আসিল। প্রথম উচ্ছ্বাসে বাধা প্রাপ্ত হইয়া তাহার মনটা একটু দমিয়া গিয়াছিল।
১৩৮